বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণের অভিযোগ করে আ.লীগ নেতার ‘রোষানলে’

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ২৩:০৬

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর রহমান সাহেদ গত পরশুদিন আমার বাসায় এসে হুমকি দিযে গেছে। আজকেও সে এসেছিল। ভয়ে আমি তার সঙ্গে সাক্ষাত করিনি। এলাকার লোকজনের মাধ্যমে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছে। এমনকি আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সহায়তা পাইনি।’

ঢাকার সাভারে ধর্ষণের অভিযোগ করে অভিযুক্ত ও তার স্বজন আওয়ামী লীগ নেতার রোষানলে পড়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক তরুণী। এদিকে মামলা না নিয়ে উল্টো ওই নারীকেও দুষছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বাসায় গিয়ে হুমকি ও পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা না পাওয়ারও অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।

এর আগে সোমবার বিকেলে আশুলিয়া থানায় সাকিব ভূইয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত সাকিব আশুলিয়ার গৌরীপুর এলাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভুক্তভোগীকে হয়রানির অভিযোগ ওঠা মজিবর রহমান সাহেদ ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি অভিযুক্ত সাকিবের স্বজন বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ মেলে এমন একটি ছবিও এসেছে নিউজবাংলার কাছে।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করি। সাকিব ভূইয়ার সঙ্গে একটি ফার্নিচারের দোকানে গিয়ে পরিচয় হয়। পরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।’

তিনি বলেন, ‘পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত দুইমাস ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সাকিব। বিষয়টি নিয়ে ৬ মার্চ সাকিবকে বিয়ের কথা বললে সে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এছাড়া আমি যেন এলাকা ছেড়ে চলে যাই সেজন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করে।’

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর রহমান সাহেদ গত পরশুদিন আমার বাসায় এসে হুমকি দিযে গেছে। আজকেও সে এসেছিল। ভয়ে আমি তার সঙ্গে সাক্ষাত করিনি। এলাকার লোকজনের মাধ্যমে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করছে। এমনকি আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সহায়তা পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘এসআই ফরিদুলের কাছে গেলে সে আমাকে উল্টো দোষারোপ করে নানা কথা শুনিয়ে দেয়। বলে, আদালতে মামলা করলে ওয়ারেন্ট আনলে তারপর আসামিকে ধরব।’

ধর্ষণের অভিযুক্ত সাকিব ভূইয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগ মজিবর রহমান সাহেদ। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান সাহেদ বলেন, ‘সাকিব আমার কেউ হয় না। কোনো রিলেটিভও না। শুনেছি সাকিবের বিরুদ্ধে একটা রেপ কমপ্লেন হইছে। সে ছাত্রলীগ করে ও এলাকার ছেলে। আমি ওই মেয়ে চিনিই না। দেখাই হয় নাই আমার সাথে। পুলিশ যেভাবে করে তাতে আমার কোনো আপত্তি নাই।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘উনি আজকে আমারে ফোন করছে। আইনত মেয়েটাই অপরাধী বুঝছেন। ওর আগে একটা বিয়া হইছে। হ্যারপর এখানে আইসা ওই ছেলেটার সাথে থাকছে।’

তিনি বলেন, ‘সে ছেলেটা এখানকার স্থানীয়। ও জানে না যে স্থানীয় ছেলে বিয়ে করবে কি না? ওর তো নিজেরও বোঝা উচিত ছিল। যাই হোক দেখি আমি রাতটা কী করা যায়?’

এসআই ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যাব রাতে। যদি একান্তেই কিছু না আসে তাহলে আইনি ব্যবস্থা তো আছেই। আমি জাগায় গিয়া যদি সত্যতা পাই তাহলে ওসিরে ফোন দিব। ওসি স্যার যদি বলে তাহলে আমি আসামি নিয়া আসব, মামলা নিব।’

ভুক্তভোগীকে আদালতে কেন যেতে বলেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘থানায় মামলা হবে না একথা বলি নাই। কোর্টে গেলে ভালো হয়। আশুলিয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতনের যদি মামলা নিই, তাহলে থানায় মামলায় ভরে যাবে।’

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম বলেন, 'বিষয়টা আমার জানা নাই। ভিকটিমকে দ্রুত থানায় পাঠায় দেন, মামলা নিব।’

এ বিভাগের আরো খবর