বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার’ পেলেন রঞ্জনা বিশ্বাস

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ২০:৪৬

রঞ্জনা বিশ্বাস বলেন, ‘১৫ বছর আগে যে জীবনকে আমি অর্থহীন মনে করেছিলাম, আত্মহননের মাধ্যমে যে জীবনেক অস্বীকার করতে চেয়েছিলাম আজ ১৫ বছর পর সে জীবন অন্যন্যার স্বীকৃতি পাচ্ছে। এতদিন যে জীবনকে আমি প্রয়োজনীয় মনে করিনি আজ এখানে দাঁড়িয়ে সেই জীবন বিমুখ মানুষদের আমি বলতে চাই, দেখো এখানে আলো আছে। ভালোবেসে জীবনকে উপলব্ধি করতে শেখো।’

‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৮’ পেয়েছেন লেখক ও প্রবন্ধিক রঞ্জনা বিশ্বাস। বাংলা ভাষার কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন কথা সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক আকিমুন রহমান। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।

পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে রঞ্জনা বিশ্বাস বলেন, ‘১৫ বছর আগে যে জীবনকে আমি অর্থহীন মনে করেছিলাম, আত্মহননের মাধ্যমে যে জীবনেক অস্বীকার করতে চেয়েছিলাম আজ ১৫ বছর পর সে জীবন অন্যন্যার স্বীকৃতি পাচ্ছে। এতদিন যে জীবনকে আমি প্রয়োজনীয় মনে করিনি আজ এখানে দাঁড়িয়ে সেই জীবন বিমুখ মানুষদের আমি বলতে চাই, দেখো এখানে আলো আছে। ভালোবেসে জীবনকে উপলব্ধি করতে শেখো।’

তিনি বলেন, ‘যেসব নারীরা, যারা জীবনের অর্থ খোঁজে পান না, তাদের আমি বলতে চাই, জীবনকে প্রয়োজনীয় করে তুলবার দরকার নেই বরং আসুন, আমরা প্রয়োজনীয় জীবনের পথে হাঁটি।’

রঞ্জনা বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আজকের এই পুরস্কার আমার দিদিকে উৎসর্গ করতে চাই। যিনি তারা জীবনের দীর্ঘ সময় আমাদের জন্য উৎসর্গ করেছেন। আজকে অনন্যা কর্তৃপক্ষ আমার কাজের ওপর যে আলো ফেলেছেন, যে আস্থায় অনন্যা কর্তৃপক্ষ আমার হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন আমি সেই আলো জ্বেলে রাখার চেষ্টা করব। আমি চেষ্টা করব সেই পদকের মর্যদা অক্ষুণ্ণ রাখার।’

এর আগে রঞ্জনা বিশ্বাসকে ফুল, ক্রেস্ট এবং উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করেন আয়োজকরা। এরপর তার জীবন এবং সাহিত্যের ওপর আলোচনা করেন সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক আকিমুন রহমান।

সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে রঞ্জনা বিশ্বাসের জীবন ও সাহিত্যকর্ম তুলে ধরা হয়।

এ পর্যন্ত রঞ্জনা বিশ্বাসের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২৪। তিনি বেদে ও লোক-ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা করছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও লোকসাহিত্য তার গবেষণার অন্যতম প্রধান বিষয়। গবেষণায় এরই মধ্যে কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার এবং ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেছেন।

বাংলা ১৪০১ সন (১৯৯৩ সাল) থেকে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবছর একজন করে এ পর্যন্ত ২৭ জন নারী সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর