শিশুখাদ্যের মোড়কে বিক্রয়মূল্য না থাকা, মেয়াদ না থাকা ও পণ্য আমদানির রসিদ না পাওয়ায় রাজধানীর গুলশানে একটি দোকানের মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে দোকানটিকে সাময়িকভাবে বন্ধও করে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গুলশান এক নম্বরের ডিসিসি মার্কেটের দোতলায় মাওলা ট্রেডার্স নামক দোকানের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এদিন ওই মার্কেটে শিশুখাদ্য বিক্রয় ও বিপণন করে এমন দোকানে আকস্মিক অভিযান শুরু করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দোকানগুলোতে মজুত রাখা শিশুখাদ্যের মেয়াদ, মূল্য, আমদানির বৈধতা যাচাই করেন তারা।
অন্যান্য দোকানে কোনো অসংগতি ধরা না পড়লেও দোতলার মাওলা ট্রেডার্সের কিছু সেরিলাক, বিদেশি দুধ ও জুসের গায়ে বাংলাদেশি টাকায় কোনো বিক্রয়মূল্যের ট্যাগ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যও ছিল। এ সময় দোকানে পণ্যগুলোর আমদানি রসিদও পাওয়া যায়নি।
এসব অসংগতির কারণে মাওলা ট্রেডার্সের মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় দোকানটি।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকারের পরিচালক মঞ্জুর মোহম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘মাওলা ট্রেডার্স ৬০ রকমের শিশুখাদ্য বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে। আমাদের অভিযানে দেখা গেল তাদের কতগুলো শিশুখাদ্য প্রোডাক্টের প্রাইস ট্যাগ নেই, ইমপোর্ট চালান নেই আর কয়েকটি প্রোডাক্টের মেয়াদও নেই।’
তিনি বলেন, ‘আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি আমরা আপাতত দোকানটা বন্ধ করে দিয়েছি। তারা তাদের প্রোডাক্টের চালান নিয়ে আমাদের শুনানিতে অংশ নেবে। সেখানে সকল বৈধ কাগজ দেখাতে পারলে আমরা দোকানটি খুলে দেব।’