যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ২০০টি আধুনিক যাত্রীবাহী কোচ যুক্ত করা হবে। ইউরোপীয় মানের এসব কোচ কেনার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি- একনেক।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানেই প্রকল্পটির অনুমোদন দেন তিনি।
সভা শেষে অনুমোদিত প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীদের আধুনিক, নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ (কোচ) কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। প্রকল্পে ইআইবির (ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক) ঋণ দেবে ১ হাজার ৩৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা। বাকি টাকা সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হবে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাতীয় ও আন্তদেশীয় রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এ ছাড়া যমুনা নদীর ওপর ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ চলমান। পদ্মা সেতু এবং যমুনা নদীর ওপর রেল সেতু তৈরি হলে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে এবং পাশের দেশগুলোর সঙ্গে উপযুক্ত রেল সংযোগ তৈরি হবে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনেও প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে রেলওয়ের মোট ৪৬৭টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী বগি বা কোচ আছে। এর মধ্যে ১৭৬টির আয়ুষ্কাল এরই মধ্যে শেষ।
রেল মন্ত্রণালয়ের মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী আগামী ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগের শতভাগ ট্র্যাক ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। এমন অবস্থায় পুরোনো বগি প্রতিস্থাপনসহ আগামী চার বছরের মধ্যে ৪০০টি যাত্রীবাহী বগি প্রয়োজন হবে। এ জন্য নতুন ২০০ বগি কেনা হচ্ছে।
সবগুলো বগি হবে ব্রডগেজ লাইনের চলাচল উপযোগী। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে রেল নতুন এসব কোচ পর্যায়ক্রমে হাতে পাবে।