বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্যাসের দাম বাড়ালে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে: ফখরুল

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ১৫:২০

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছেস। আবারও যদি গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়, বিশেষত গ্যাসের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু দাম বেড়ে যাবে। এটা ইন্টার লিংকড। আমরা কোনো মতেই এটা সমর্থন করতে পারি না। আমরা এর নিন্দা জানাই।’

গ্যাসের দাম বাড়াতে আবারও সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশে আবারও সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যাবে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জিয়া পরিষদের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর এ কথা বলেন তিনি।

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি গণবিরোধী উদ্যোগ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে জনমানুষের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে। নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আমরা আন্দোলন করলাম। সেখানে গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ছিল, এই আন্দোলন চলমান। আমরা গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সম্পূর্ণ বিরোধী এবং আমরা মনে করি, এটা গণবিরোধী উদ্যোগ।’

গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে পেট্রোবাংলা যে প্রস্তাব দিয়েছিল সে বিষয়ে গতকাল সোমবার গণশুনানি করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মিশ্রিত গ্যাসের পাইকারি ব্যয় (২০২২ সালে প্রতি ঘনমিটার) ১৫ দশমিক ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ দশমিক ৩৫ টাকা করার প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা।

পরে অবশ্য পেট্রোবাংলার প্রস্তাবকে অযৌক্তিক হিসেবে তুলে ধরে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। তারা যাচাই-বাছাই শেষে সুপারিশ করে, এই দাম বর্তমান দামের চেয়ে প্রতি ঘটমিটারে ৩ টাকা ১১ পয়সা বাাড়িয়ে ১২ দশমিক ৪৭ টাকা করার সুপারিশ করেছে। সুপারিশ বাস্তবায়ন করলে আবারও বাড়বে গ্যাসের দাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছেস। আবারও যদি গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়, বিশেষত গ্যাসের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু দাম বেড়ে যাবে। এটা ইন্টার লিংকড। আমরা কোনো মতেই এটা সমর্থন করতে পারি না। আমরা এর নিন্দা জানাই।’

এ সময় বিএনপি নেতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বিশিষ্টজনদের সংলাপ নিয়েও কথা বলেন।

তার দাবি, সংলাপে দেশের বিশিষ্টজনদের কোনো আগ্রহ নেই।

‘ইসির সংলাপে আমন্ত্রিত অতিথিদের অনুপস্থিতি প্রমাণ করে এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশের বিশিষ্টজনদের কোনো আগ্রহ নেই। যত ভালো ইসি হোক না কেন, তার পক্ষে একটি অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়, যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হয়। তাই আমরা (সংলাপে) আগ্রহী নই।’

ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন ইসি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে তখন থেকে আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। কারণ, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় নির্বাচনকালীন কী ধরনের সরকার থাকবে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।’

গত দু-তিনটা নির্বাচন এবং সম্প্রতি স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বিএনপির অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, ‘সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়। তাই বিএনপির একটাই দাবি, নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার। যে সরকারের অধীনে মানুষ ভোট দিয়ে জনগণের সরকার নির্বাচিত করবে।’

শ্রদ্ধা জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক এম সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক শফিকুল ইসলামসহ অন্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর