বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে আফসোস

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ১৫:১০

টানা দুই দিন আতঙ্কে কম দামে শেয়ার বিক্রি করেছেন যারা, তাদেরকে এদিন বেশি দামে কিনতে হয়েছে শেয়ার। এর আগেও পুঁজিবাজারে নানা সময় এই বিষয়টি দেখা গেছে। পুঁজিবাজারে টালমাটাল পরিস্থিতিতে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিএমবিএ ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে যে চিঠি দিয়েছে, তাতেও বিনিয়োগকারীদের এই অস্থিরতার কথাটি তুলে ধরেছে।

ঢালাও পতন থামার ইঙ্গিতটা ছিল আগের দিনের শেষ বেলাতেই। পরের দিন সেটি সত্য প্রমাণ হলো। এক দিনে বাড়ল আড়াইশর বেশি কোম্পানির শেয়ারদর। দল বেঁধে সর্বোচ্চ সীমা ছুয়ে দর হারানোর চিত্রও দেখা গেছে কম।

একদিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আবার ১০ শতাংশ করা হচ্ছে- এমন তথ্যে রোববার দেখা দেয় ঢালাও দরপতন। ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার দর হারায় একদিন। এর মধ্যে দেড় থেকে দুইশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমে এক দিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই। আবার এই সর্বনিম্ন দামেও শেয়ারের ক্রেতা ছিল না বললেই চলে।

সেদিন সূচক কমে ৬৭ পয়েন্ট। আর লেনদেন নেমে আসে ১১ মাসের সর্বনিম্নতে। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি থেকে জানানো হয়, দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা আবার ১০ শতাংশ করার বিষয়ে এখনই কোনো পরিকল্পনা নেই।

পরের দিন লেনদেন শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে থেকে আতঙ্ক কিছুটা কমতে দেখা যায়। দিনের শুরুতে সূচক অনেকটা হারিয়ে ফেললেও শেষ বেলায় সেখান থেকে অনেকটাই উদ্ধার হয়। আবার শেষ এক ঘণ্টায় গতি পায় লেনদেনেও। এ কারণে দিন শেষে ৬ পয়েন্ট সূচক কমলেও বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশা ফিরে আসে।

মঙ্গলবার লেনদেন শুরুই হয় সূচক বেড়ে। বেলা যত গড়িয়েছে, সূচকে তত বেশি পয়েন্ট যোগ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আগের দুই দিনে সূচক যতটা কমেছিল, তার চেয়ে বেশি ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয়েছে লেনদেন।

গতি ফিরেছে লেনদেনেও। আগের দুইদিন লেনদেন ছিল ছয় শ কোটি টাকার ঘরে। সেটি বেড়ে হয়েছে ৯৫৭ কোটি ৬০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

দিন শেষে বেড়েছে ২৫৭টি কোম্পানির দর, কমেছে ৭৩টির, অপরিবর্তিত ছিল ৪৭টির দর।

সপ্তাহের দুই দিন সূচক যতটা কমেছিল, মঙ্গলবার তার চেয়ে বেশি বেড়েছে

টানা দুই দিন আতঙ্কে কম দামে শেয়ার বিক্রি করেছেন যারা, তাদেরকে এদিন বেশি দামে কিনতে হয়েছে শেয়ার। এর আগেও পুঁজিবাজারে নানা সময় এই বিষয়টি দেখা গেছে।

পুঁজিবাজারে টালমাটাল পরিস্থিতিতে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিএমবিএ ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে যে চিঠি দিয়েছে, তাতেও বিনিয়োগকারীদের এই অস্থিরতার কথাটি তুলে ধরেছে।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের পুঁজিবাজারের প্রধান কাঠামোগত সমস্যাগুলোর একটি হলো- খুচরা বিনিয়োগকারীরা দ্বারা বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। খুচরা বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে বিক্রির চাপ বাড়ায়।

এটি বারবার ঘটতে পারে- এই বিষয়টি উল্লেখ করে বিএমবিএ বলছে, ‘এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের বিশেষ ঋণ সুবিধা/তহবিল সহায়তার ব্যবস্থা করে বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের শক্তিশালী করতে হবে; যাতে তারা হঠাৎ গুজবসহ অন্য যেকোনো ধরনের পতন থেকে বাজারকে সমর্থন করতে পারে।’

সূচক বাড়ানোর নেতৃত্বে বেক্মিমকো-রবি

সূচক যত বেড়েছে তার প্রায় অর্ধেক বাড়িয়েছে ১০টি কোম্পানি। সব মিলিয়ে এই কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত অবদান ছিল ৩৮.৭৩ পয়েন্ট।

এর মধ্যে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক যে দরপতন, সে সময় কোম্পানিটি শেয়ারদর ধরে রেখেছিল। বরং অল্প অল্প করে বেড়েছে। এক দিনে কোম্পানিটির শেয়ার দরে যোগ হলো ৩.৪৮ শতাংশ। এতে সূচকে যোগ হয়েছে ৮.২৪ পয়েন্ট।

শীর্ষ দশের তালিকায় ছিল বেক্সিমকো গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা। ৩.১৮ শতাংশ দর বৃদ্ধির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৪৩ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭.২৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণার পর দর হারানো রবি। কোম্পানিটির শেয়ারদরে যোগ হয়েছে ২.৩৭ পয়েন্ট, এতে সূচক যোগ হয়েছে ৭.২৯ পয়েন্ট।

এছাড়া স্কয়ার ফার্মা ৪.৭৮ পয়েন্ট, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট ৩.৪৪ পয়েন্ট রেনাটা ২.৯৮ পয়েন্ট, ওয়ালটন ২.৩২ পয়েন্ট, সোনালী পেপার ২.০৬ পয়েন্ট, পাওয়ারগ্রিড ১.৭৪ পয়েন্ট, ও ব্র্যাক ব্যাংক ১.৪৫ পয়েন্ট যোগ করেছে।

দর বেশি বেড়েছে যেসব কোম্পানির

এদিন দারুণ দিন গেছে প্রকৌশল, খাদ্য, জীবন বিমা, ওষুধ ও রসায়ন, সিমেন্ট, তথ্য প্রযুক্তি, বস্ত্র খাতে।

গত দুই দিন কোনো কোম্পানিট এক দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁতে না পারলেও এদিন দুটি কোম্পানির দর বেড়েছে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই।

এর মধ্যে সরকারের কাছে শেয়ার ছেড়ে মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া এটলাসের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি ৯.৯২ পয়েন্ট। আগের দিন দাম ছিল ১১২ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকে বেড়ে হয়েছে ১২৪ টাকা।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমরা টেকনোলজির দর বেড়েছে ৯.৮৯ পয়েন্ট। আগের দিন দর ছিল ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা, সেটি বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা ৩০ পয়সা।

এছাড়া অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৮ শতাংশের বেশি, আইসিটি ফার্স্ট অগ্রণী ও সোনালী পেপারের দর ৭ শতাংশের বেশি, জাহিন স্পিনিং ও আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর ৬ শতাংশের বেশি এবং অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে থাকা এপেক্স ট্যানারি, এএমসিএল প্রাণ ও আলহাজ্ব টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।

আরও দুটি কোম্পানির শেয়ার দর ৫ শতাংশের বেশি, আটটি কোম্পানির দর ৪ শতাংশের বেশি, ২২টি কোম্পানির দর ৩ শতাংশের বেশি এবং আরও ৫০টির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।

এ বিভাগের আরো খবর