জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক নেতা।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে আল বেরুনী হলের ৪৫ ও ৪৬তম ব্যাচের ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ফয়সাল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৩তম ব্যাচ ও আল বেরুনী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন।
অভিযোগপত্রে ফয়সাল লিখেছেন, ‘নওশাদ নামের এক ছেলে আমাকে ডাকে। আমি তার ডাকে সাড়া দিয়ে বিজনেস ফ্যাকাল্টির সামনে পুকুর পারে যাই। তখন আরও ১২ জন ছেলে এসে আমাকে লাথি ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে ফেলে।’
তিনি জানান, ঘটনার সময় তার বান্ধবী এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তার গায়েও হাত তোলে এবং তার গলা থেকে একটি চেইন ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৫ ব্যাচের নওশাদ হোসেন সুজন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪৫ ব্যাচের অভিক ব্যানার্জি ও ৪৬ ব্যাচের সোহেল রানা, ইতিহাস বিভাগের মোহাইমিনুল ইসলাম, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের জোবায়েদ আশিক, সুজন মাহমুদ, শহিদুল রনি, মোফাজ্জল হোসেন কাওসার এবং দর্শন বিভাগের আব্দুর রহিম ও রাজিবুল হক পান্থ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগকর্মী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে মারধর হয়ে থাকতে পারে। ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগপত্র পেয়েছি। নিয়মানুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’