স্টেশন মাস্টারের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে একই লাইনে মুখোমুখি দুটি ট্রেন সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেল। দুটি ট্রেনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে বহন করছিল।
সোমবার বিকেল ৩ টার দিনে চট্টগ্রামের ষোলশহর রেল জংশনে এই ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোমবার বেলা আড়াইটার ১৩৮ নম্বর শাটল ট্রেনটি ফিরছিল চট্টগ্রামের দিকে। ষোলশহর স্টেশনের দিকে প্রবেশের সময় সিগন্যাল অমান্য করে সিঙ্গেল লাইনে ঢুকে পড়ে সেটি। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে যাত্রা করা ১৩৯ নম্বর ট্রেনটিও বিপরীত দিকে সিঙ্গেল লাইনে ঢুকে পড়ে প্রায়।
এমন পরিস্থিতি ষোলশহর স্টেশন মাস্টার ১৩৮ নম্বর ট্রেনের লোকো মাস্টারকে ফোন করে ট্রেন থামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। ফলে ট্রেন দুটি অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
এ ঘটনায় কারও দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলীকে প্রধান করে তিন সদ্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ষোলশহর স্টেশন মাস্টার ফখরুল আলম পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রেনটি সঠিক সময়ে না থামালে বড় দুর্ঘটনা ঘটত। একটি ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চট্টগ্রাম স্টেশনে যাচ্ছিল। অন্যটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে যাত্রা করেছিল।
‘নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা শাটল্ ট্রেন ক্রসিং লাইনে অপেক্ষা করবে। তখন বিপরীত পাশের ট্রেনটি ষোলশহর স্টেশনে প্রবেশ করবে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্টেশন মাস্টারের দক্ষতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। এটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
‘কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেবে। এর প্রেক্ষিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’