ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস্টেট আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ের এস্টেট আইন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান সোমবার এই রায় দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি জহুরুলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শরীফুল ইসলাম সাজার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় জহুরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
জহুরুল ঝালকাঠির রাজাপুর থানার গোপালপুর গ্রামের মৃত হানিফ মৃধার ছেলে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সালাউদ্দিনের মা হাসিনা আখতার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নকশাকার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে কল্যাণপুরের শহীদ মিনার রোডে টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করে বাস করছিলেন। পরিবারটিকে উচ্ছেদের জন্য ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল একটি নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে মো. সালাউদ্দিন উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন। পিটিশনের আদেশের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আপিলেট ডিভিশনে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। এটি পেন্ডিং থাকা সত্ত্বেও ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর জহুরুলসহ ৩০/৩৫ জন লোক মিলে তাদের উচ্ছেদ করতে যান। সালাউদ্দিন এসময় তাদের বিচারাধীন মামলার কাগজপত্র দেখান। তখন জহুরুল তাদের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন।
পরে ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর তেজগাঁও বাণিজ্যিক এলাকায় একটি ফুড কোর্টে বসে সালাউদ্দিন আসামি জহুরুলকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দেন। সেখানে আগে থেকে থাকা দুদক কর্মকর্তারা জহুরুলকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন।
এ ঘটনায় ওইদিনই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন।