চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের পারকি বিচ এলাকায় লাইটারেজ জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজ চার নাবিকের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ।
সীতাকুণ্ড থানার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের পশ্চিমে সাগরের উপকূল থেকে সোমবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
কুমিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া মরদেহটি এমভি টিংকু-১৪ জাহাজের লস্কর মোহাম্মদ হানিফ শেখের বলে নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিক আবুল খায়ের গ্রুপের এক কর্মকর্তা।
৩৫ বছর বয়সী হানিফ শেখের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। তার মরদেহটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পরিদর্শক একরাম উল্লাহ বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ভেসে আসা একটি মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহ পচে মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাইটারেজ জাহাজডুবির ঘটনায় চারজন নিখোঁজের বিষয়টি অবগত ছিলাম। পরে মরদেহের ছবি আবুল খায়ের গ্রুপের কর্মকর্তাদের দেখানো হলে তারা নিশ্চিত করে এটি জাহাজের লস্কর মোহাম্মদ হানিফ শেখের।’
সুরতহাল শেষে মরদেহটি জাহাজের মালিকপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের ক্যারিয়ার লিমিটিডের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে উপকূলে ভেসে আসা মরদেহটি আমাদের জাহাজের লস্কর হানিফ শেখের। কোম্পানির পক্ষ থেকে দাফন-কাফনের সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। মরদেহ ফরিদপুরে তার নিজ বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে।’
‘শ্রমিক আইন অনুযায়ী আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। আমাদের আরও তিন নাবিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে কোস্টগার্ড।’
গত শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরের সিমেন্টবাহী লাইটারেজ জাহাজটি অন্য একটি বাল্ক হেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। জাহাজে ১৩ জন নাবিক-ক্রু ছিলেন। এ ঘটনায় ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এখন নিখোঁজ আছেন তিনজন।