নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় করা মামলায় জাহাজের চালক, মাস্টারসহ আটজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে পেয়েছে নৌপুলিশ।
নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কাউসার আলম সোমবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেক আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন।
এর আগে লঞ্চডুবির ঘটনায় এমভি রূপসী-৯ জাহাজের চালকসহ আটজনকে আসমি করে বন্দর থানায় মামলা করা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক বাবু লাল বদ্য এই মামলা করেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান, সোমবার দুপুরে মামলটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এতে বাদী অভিযোগ করেছেন, বেপরোয়া গতিতে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছে জাহাজটি।
মামলার বাদী বাবু লাল বদ্য জানান, জাহাজের চালক, মাস্টার, সুকানিসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে। একটি মামলা হবে মতিঝিলের নৌ আদালতে। আসামিদের কঠোর শাস্তি দিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন জাহাজের মাস্টার রমজান আলী শেখ, নুরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম, নাদিম হোসেন, লস্কর সুমন হোসেন, ইয়াসিন, সুকানি জাহিদুল ইসলাম ও গ্রিজার রিয়াদ হোসেন।