বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এমপিওর দাবিতে ফের শাহবাগে প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ১৬:৫৯

প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্ত করার ব্যাপারে মন্ত্রী নয়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস না আসা পর্যন্ত এবার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব ইসরাত জাহান।

অনলাইনে আবেদন করা ১ হাজার ৭৭২টি প্রতিবন্ধী স্কুলের এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ফের অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গতকাল রোববার সকাল থেকে তাদের এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের এই অবস্থান চলছে।

একই দাবিতে গত বছরের ১১ অক্টোবর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছিল স্কুলগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা।

পরে ১৪ অক্টোবর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের আশ্বাসে তারা অবস্থান থেকে সরে যান। কিন্তু এতোদিনেও সেই আশ্বাস পূরণ না হওয়ায় ফের অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান তারা।

প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্ত করার ব্যাপারে মন্ত্রী নয়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস না আসা পর্যন্ত এবার কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব ইসরাত জাহান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান কর্মসূচির পর থেকে প্রশাসন থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তারা আমাদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে। কিন্তু আমরা বলেছি, আমরা মন্ত্রীর সঙ্গে বসব না।

‘কারণ মন্ত্রী একটা ভারবাল কথা বলে দেবেন। সে কথার উপর সন্তুষ্টির আমাদের কোনো কারণ নেই। কারণ এই ধরণের আশ্বাস আমরা ইতোপূর্বে অনেক পেলেও আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। তাই আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আমাদের দাবির বিষয়ে একটু সবুজ সংকেত দিক।’

প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান অপু বলেন, ‘এমপিওর জন্য সরকারের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে আমরা ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলোর সব তথ্য দিয়েছি। এগুলোর সাথে টিএনওর উপস্থিতিতে আমাদের প্রতিটি স্কুলের ভিডিও করেও আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।

‘একটা আবেদনের পর দুই বছর কেটে গেলো, কিন্তু আমরা কোনো ফলাফল জানতে পারিনি। কেন জানতে পারিনি, আমাদের কী ঘাটতি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়গুলোকে স্বীকৃতি এবং এমপিও দিয়ে আমাদের বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি।’

শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় হাই কেয়ারের সহকারী শিক্ষক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘পত্রিকা খুললে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও হওয়ার খবর দেখা যায়। এই এমপিওর মধ্যে মাদ্রাসা, ভোকেশনাল, স্কুল-কলেজ থাকলেও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর বিন্দুমাত্র কথা নেই। যদিও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় তারপরও এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথর ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোকে অতিদ্রুত এমপিও দিয়ে দেয়া হোক।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ যে অর্থ সরকার দেয়, তাকে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিও বলা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল অনুযায়ী এই সহায়তা দেয় সরকার।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব প্রতিবন্ধী স্কুলগুলো মূলত সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনে। এসব স্কুলে প্রাথমিকের পাঁচটি শ্রেণির আগে ‘প্রাক প্রাথমিক ও প্রস্তুতিমূলক’ নামের একটি শ্রেণি রয়েছে। আর প্রাথমিকের পর শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেয়া হয়।

বৃত্তিমূলক শিক্ষা কী জানতে চাইলে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখানো, অর্থাৎ কোনো কাজ শিখিয়ে তাকে স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা করা। এসব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা যেন সমাজের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারে, ভালো-মন্দ বুঝতে পারে এটাই আমাদের স্কুলগুলোর মূল লক্ষ্য।’

এ বিভাগের আরো খবর