নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
সোমবার দুপুরে নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আলামিন নগর ঘাটে মরদহেটি আনা হলে সেটি স্কুল শিক্ষক উম্মে খায়রুল ফাতেমার বলে শনাক্ত করেন স্বজনরা।
তিনি সোনারগাঁর বৈদ্যারবাজার এলাকার খারিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
এর আগে নদীর তীরে শাহ সিমেন্ট এলাকা থেকে সোমবার সকাল ১০টার দিকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।
পরে তারা মরদেহ ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।
মরদেহের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তবে তার বয়স ৩০ এর কাছাকাছি হবে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘সবশেষ উদ্ধার মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করেছে তার পরিবারের লোকজন। শীতলক্ষ্যার তীরের শাহ সিমেন্ট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় যে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় নদী থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা। তাদের মধ্যে দুজন নারী, দুজন শিশু ও দুজন পুরুষ। পাঁচজনকে নদী থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ৫০ জন যাত্রী নিয়ে এল এম আশরাফ উদ্দিন নামের লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সদর উপজেলার আলামিন নগর এলাকায় রোববার দুপুর ২টার দিকে সিটি গ্রুপের জাহাজের ধাক্কায় এটি ডুবে যায়।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো জাহাজ একে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।