১৫ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া মুন্সিগঞ্জগামী এম এল আফসার উদ্দিন লঞ্চটি উদ্ধার করে পাড়ে আনা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় সোমবার ভোর সোয়া ৫ টার দিকে মাঝ নদী থেকে লঞ্চটিকে উদ্ধার করে টেনে পাড়ে নিয়ে আসে।
পরে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারীরা লঞ্চটির ভেতরে তল্লাশি চালায়। তবে সেখানে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, রাত ১০ টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে আসে।
রাতভর চেষ্টায় ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে লঞ্চটি শীতলক্ষ্যার পাড়ে আলামিন নগর এলাকায় আনা হয়। এরপর উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো লঞ্চের উপরে-নিচে তল্লাশি চালায়।
তিনি জানান, নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে। যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারে নদীর তলদেশে ও নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তল্লাশি করা হবে।
এদিকে এখনও কয়েকজনকে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে নদীর পাড়ে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
এর আগে রোববার দুপুরে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌ পুলিশ। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, দুজন শিশু ও দুজন পুরুষ। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে নদী থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তারা হলেন, মুন্সিগঞ্জ সদরের উত্তর ইসলাম পুরের ব্যবসায়ী ৫৫ বছরের জয়নাল ভূইয়া, ৩৫ বছরের আরিফা আক্তার ও তার ছেলে ১৫ মাসের সাফায়েত, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ৪০ বছরের সালমা বেগম ও তার মেয়ে ৭ বছরের ফাতেমা এবং মুন্সিগঞ্জ সদরের ২০ বছরের স্মৃতি।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) জিল্লুর রহমান।
কতজন নিখোঁজ আছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিখোঁজদের তালিকা করছে জেলা প্রশাসন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০/৩০ জন সাঁতরে তীরে উঠছেন।’