বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুব সমাজ রাজপথে নামলে বিএনপি নেতারাও নামবেন: হাফিজ

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২২ ২১:৩২

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সাহসী সন্তানরা বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। তিনি ক্ষমতায় গিয়েও সততা দেখিয়েছেন। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তার প্রমাণ দিয়েছেন একজন রাষ্ট্রপতি হিসেবেও।’

যুব সমাজ রাজপথে আন্দোলনে নামলে বিএনপি নেতারাও নামবেন বলে জানিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। বলেন, ‘আজকের জিয়াউর রহমানের দলের আরও অনেক ভূমিকা রাখা উচিত ছিল। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দিনের পর দিন কারাগারে, আমরা কী করতে পারছি? শুধু বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছি।

‘আমাদের তো বয়স হয়েছে। আমরা তাকিয়ে আছি যুব সমাজের দিকে, তারা নামলে আমরাও সঙ্গে থাকতাম। কোথায় সেই ছাত্র-যুব সমাজের দল, যারা এই দেশটাকে স্বাধীন করেছে।’

রাজধানীর সেগুনবাগিচার কচিকাঁচা মিলনায়তনে রোববার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট এ অনুষ্ঠানের আয়োজক।

লুটপাটের নয়, জিয়াউর রহমানের বিএনপি দেখতে চান জানিয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের সাহসী সন্তানরা বুকের রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান। তিনি ক্ষমতায় গিয়েও সততা দেখিয়েছেন। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তার প্রমাণ দিয়েছেন একজন রাষ্ট্রপতি হিসেবেও।

‘জিয়াউর রহমান ছয় বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এক ইঞ্চি জমি নেই, কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নেই। সৎ লোকের জায়গা এ দেশে নেই। জিয়াউর রহমান যে আদর্শ রেখে গেছেন, আওয়ামী লীগের কূটচালের মধ্যেই তা হারিয়ে যাবে।’

হাফিজ বলেন, ‘আজকে একটা ইউনিয়ন কাউন্সিল মেম্বার দেখেন। কোনোমতে যদি একটি ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেম্বার হয়, পৌরসভার কাউন্সিলর হয়, তার দেখেন কত গুণ সম্পদ বেড়ে যায়। শেখ হাসিনাই বলেছিলেন নির্বাচনের পর মন্ত্রী-এমপিদের শিক্ষা দেবেন। কই? দেখতে পেলাম না।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘লুটপাট করার জন্য ইচ্ছে করে তারা সম্পদের হিসাব দিচ্ছে না। আজকে প্রয়োজন ১৯৭১ সালের মুক্তিকামী জনতা। ছাত্র-যুবক যারা রাজপথে এসে দুর্নীতিবাজ-দেশাত্মবোধ বিবর্জিত সরকারকে উৎখাত করতে পারবে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘দুই লাখ লোক রাজপথে নামলে, দুই লাখ লোক নামেন ঢাকা-চিটাগাং রোড বন্ধ করেন। বিভিন্ন... বন্ধ করে দেন। কোথাও যুদ্ধ করতে হবে না, আগুন দিতে হবে না, গাড়ি ভাঙচুর করতে হবে না, খালি রাস্তায় বসে যান, এরা ভয়ে পালিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশে কথা বলা খুব মুশকিল। একটি পরাধীন দেশে বসবাস করি আমরা। এখন শোনা যায় এক ব্যক্তি এবং একটি দল রাষ্ট্রভাষা কায়েম করে দিয়েছে। ছাত্র সমাজ ১৪৪ ধারা ভেঙে ভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখানে রাজনৈতিক দলের কোনো কৃতিত্ব নেই। পাকিস্তান সরকারে যাওয়ার ছয় দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলন বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ৭ মার্চে ছাত্রদের দাবি ছিল, স্বাধীনতা ঘোষণার। চারটি দাবি ছিল সেদিনের ভাষণে, কিন্তু সেখানে স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল না। ইতিহাস বিকৃতির রাজনীতি এখনও চলছে।’

হাফিজ বলেন, ‘১৯৭১-এর যুদ্ধ ছিল সাধারণ মানুষের যুদ্ধ। কোনো রাজনৈতিক দলের যুদ্ধ ছিল না।’

আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাব উদ্দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির ব্যাপারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, আব্দুস সালাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সভাপতি আবদুল হাই শিকদারসহ অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর