যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের মারিউপোল শহর থেকে বাসিন্দাদের ধরে ধরে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মারিউপোল শহর কর্তৃপক্ষ শনিবার এই দাবি করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
অভিযোগ উঠেছে, এরই মধ্যে মারিউপোলের কয়েক হাজার মানুষকে রুশ সেনারা ধরে নিয়ে গেছে। সীমান্ত দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনের এই অভিযোগ নিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সরকারের একজন কর্মকর্তা পাইটর আন্দ্রিউশেঙ্কো নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান, মারিউপোলের চার থেকে সাড়ে চার হাজার বাসিন্দাকে সীমান্ত দিয়ে রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর শহর তাগানরগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পার্সপোট ছাড়াই ওই বাসিন্দাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাশিয়ার সেনারা নিয়ে গেছে এমন তিনটি পরিবারের খবর জানিয়েছেন ইউক্রেনের এক বাসিন্দা।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে মারিউপোল ছাড়া চিকিৎসক এডওয়ার্ড জারুবিন বলেন, ভবনে ঘুরে বেড়াচ্ছে রাশিয়ার সেনারা। কাউকে পেলেই জোর করে সীমান্ত দিয়ে তাদের দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনের বাসিন্দাদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার আভিযোগ স্বীকার করেনি রাশিয়া। তবে দেশটির একজন কর্মকর্তা শুক্রবার বলেন, ইউক্রেনের হাজার হাজার বাসিন্দা রাশিয়ায় ঢুকতে চাইছে। সরকার তাদের সহায়তা করছে।
সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন। প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইউক্রেনও।
যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে। রুশবিরোধী ঐক্যের ডাক দেন জো বাইডেন। কোনো কোনো দেশ ইউক্রেনে অস্ত্র, অর্থ ও নানা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।
এরই মধ্যে কয়েক দফা আলোচনায় বসেছে দুই দেশ। তবে যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে কার্যত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।