নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবিতে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিউজবাংলাকে রোববার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) জিল্লুর রহমান।
তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, দুজন শিশু ও দুজন পুরুষ। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে নদী থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কতজন নিখোঁজ আছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিখোঁজদের তালিকা করছে জেলা প্রশাসন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০/৩০ জন সাঁতরে তীরে উঠছেন। আমরা লঞ্চটি শনাক্ত করেছি। উদ্ধারকারী জাহাজকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ৫০ জন যাত্রী নিয়ে এল এম আশরাফ উদ্দিন নামের লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সদর উপজেলার আলামিন নগর এলাকায় রোববার দুপুর ২টার দিকে সিটি গ্রুপের জাহাজের ধাক্কায় এটি ডুবে যায়।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো জাহাজ একে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
‘এর আগেও শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চ ডুবে প্রাণহানি হয়েছে। নৌপুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা ঠিকমতো তদারকি না করায় শীতলক্ষ্যা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।’