মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ইয়াবা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগে থানার দুজন উপপরিদর্শককে (এসআই) স্থানীয়রা আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশের দাবি, কমলগঞ্জ থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম সাদা পোশাকে মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে ঘেরাও করেন। আরেকজন এসআই গিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে তাকে নিয়ে আসেন। বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুরের মধ্যভাগ বাজারের নিউ মেডিসিন কর্নার ফার্মেসিতে শনিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।
ফার্মেসির মালিক স্বপন কুমার সিংহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা প্রথমে নাপা সিরাপ আছে কি না জানতে চায়। পরে একের পর এক সিরাপসহ সব ওষুধ নিচে নামিয়ে দোকান তছনছ করে।
‘নিজেরা নিষিদ্ধ মেডিসিন ও ইয়াবা রেখে আমাকে বলে এইগুলা আমি রাখছি। আমাকে দোকানের পেছনে নিয়ে স্বীকার করতে চাপ দিতে থাকে। এ সময় আশপাশের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ ছুটে এলে আমি রক্ষা পাই, তারাও শান্ত হয়।’
এ বিষয়ে এসআই হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি। আমি পাশের একটি গ্রামে আসামি ধরে ফেরার পথে দেখি ওই ফার্মেসির ভেতর আমাদের একজন অফিসার এবং বাইরে প্রচুর মানুষ। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, একটি অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য আমার সহকর্মী সিরাজুল সেখানে এসেছেন।
‘এরপর উত্তেজিত জনতাকে বোঝানোর জন্য আমি বক্তব্য দেই, যা অনেকেই রেকর্ড করেন। এরপর আমরা সেখান থেকে চলে আসি।’
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘পুলিশ সেখানে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়েছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই ফার্মেসি মালিকের পক্ষ নিয়ে পুলিশকে ঘেরাও করে রেখেছিল। আটকের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’
এসআই সিরাজুলের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।