লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় ও আরেকজনকে দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের পাটোয়াটারী এলাকা থেকে ২২ বছর বয়সী ফারিহা বেগমের ঝুলন্ত এবং মদাতী ইউনিয়নের গুটিরগোর এলাকা থেকে ২৫ বছর বয়সী রুপালী বেগমের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দলগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বাদশা আলম জানান, দুই বছর আগে সুজন মিয়ার সঙ্গে ফারিহার বিয়ে হয়। তাদের ১৪ মাসের একটা ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকেই ফারিহার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। গত পরশু সুজন ১০ হাজার টাকাসহ তাকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে।
বাদশা বলেন, ‘আজকে শুনতেছি মেয়েটা গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। সকালে প্রতিবেশীরা ঘরে তার দেহ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। ফারিহার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি সবাই এখন পলাতক।’
একই দিন সকালে কালীগঞ্জের মদাতী ইউনিয়নের গুটিরগোর এলাকার সুপারি বাগান থেকে রুপালী বেগমের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রুপালীর মা আঞ্জুয়ারা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে মেয়েসহ নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছি। সে কখন উঠে বাগানে গেছে বলতে পারি না। সকালে তাকে ঘরে না পেয়ে খুঁজতে গিয়ে দেখি বাগানে পুড়ে মরে পড়ে আছে।’
ওসি গোলাম রসুল জানান, দুই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। দুই ঘটনারই তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ নারীর পরিবার কোনো মামলা করেনি। সিআইডি ঘটনার তদন্ত করছে। তবে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’