বাহারি ডিজাইনের সব অলংকার, বাহারি নাম। কেউ কানে দুল পরে দেখছেন কেউবা গলার হার। কেউ কেউ চুরি পরে দেখছেন। আছে এমনই চিত্র দেখা গেছে দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া জুয়েলারি এক্সপোতে।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বৃহস্পতিবার বসেছে তিন দিনব্যাপী এই জুয়েলারি এক্সপো।
এক্সপোর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
দেশি-বিদেশি অনেক স্টল দেয়া হয়েছে। অলংকারের পাশাপাশি রয়েছে স্বর্ণের থালা-গ্লাসও। ক্রেতা-দর্শণার্থীরা স্টলে ঘুরে ঘুরে দেখছেন নানা ডিজাইনের অলংকার।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে স্বামী ও শাশুড়িকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মৌ হাসান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছি। অলংকারের ডিজাইনগুলো অনেক সুন্দর। সাধ্যের মধ্যে হলে নেয়ার ইচ্ছা আছে।’
এক্সপোর উদ্বোধন করেন ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, গার্মেন্টসের মতোই দেশের স্বর্ণ শিল্পও বিশ্ব বাজারে জায়গা দখল করে নেবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বাজুস। বাংলাদেশে গার্মেন্টেসের পরই দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানি শিল্প হবে জুয়েলারি।’
আগামীতে এই শিল্প দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে বলে আশা করেন বাজুসের সাবেক সভাপতি দিলীপ কুমার রায়।
তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টেসের পর এ শিল্প সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় করবে। সরকারকে রাজস্ব দেবে। বিদেশিরা স্বর্ণের জন্য বাংলাদেশে আসবে।’
শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শণার্থীদের জন্য খোলা থাকবে এই এক্সপো। প্রথম দিনেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মূল্যছাড় দেয়ায় ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতা-দর্শণার্থীরা।
বাজুস জানিয়েছে, এক্সপোতে মোট দেশি-বিদেশি ৬৫টি স্টল রয়েছে। দেশের স্বর্ণশিল্পীদের হাতে গড়া নিত্যনতুন ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি ঘটবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
দর্শণার্থীদের জন্য আছে র্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থাও। নগদ ১০ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার, ৫ লাখ টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে পরের ১০ জনের জন্য রয়েছে ১ লাখ টাকা করে ১০টি পুরস্কার।