রাজধানীর আদাবরে শ্যালক-শ্যালিকাকে ঘরে আটকে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুলাভাই আলাউদ্দিন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। স্ত্রীকে ‘শিক্ষা দিতেই’ আলাউদ্দিন দুই শিশুকে ‘আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা’ করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপপরিদর্শক আব্দুল মোমিন বৃহস্পতিবার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুব আহমেদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি আদাবর থানার (নারী-শিশু) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রাফাত আরা সুলতানা নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে সাভার থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার আদাবরে সুনিবিড় হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার মিতু (১০) ও বাপ্পিকে (৫) অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, পেশায় রিকশাচালক আলাউদ্দিনের দুই স্ত্রী। পোশাককর্মী বড় স্ত্রীকে নিয়ে সুনিবিড় হাউজিংয়ে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রী মৌ থাকেন কাছাকছি আরেকটি ঘরে, তিনিও পোশাককর্মী।
অগ্নিদগ্ধ শিশু দুটি মৌয়ের ছোট দুই ভাইবোন। তাদের নিয়ে মৌয়ের কাছেই আরেক ঘরে থাকেন তাদের মা। তিনি বাসায় কাজ করেন, আর মিতু-বাপ্পির বাবা থাকেন গ্রামে।
পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে ‘শিক্ষা দিতেই’ দুই শিশুকে দুলাভাই আলাউদ্দিন ‘আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা’ করেন বলে পুলিশ জানায়।
চিকিৎসকরা জানান, মিতুর শরীরের ৯৮ শতাংশ পুড়ে গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর বাপ্পির দুই হাতসহ শরীরের ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে।