বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দেবে’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ০০:২৭

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দেবে। এ লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটারের নৌচ্যানেলে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ আগমন ও নির্গমনকারী সব জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, চ্যানেলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ, দুর্ঘটনাকবলিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার লক্ষ্যে ‘ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম’ (ভিটিএমআইএস) প্রবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মোংলা বন্দরে বুধবার বিকেলে ভিটিএমআইএসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দেবে। এ লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বঙ্গোপসাগর থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটারের নৌচ্যানেলে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

‘মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশনের লক্ষ্যে ছয় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বন্দর পর্যন্ত রেললাইন সংযোজন করা হয়েছে। ছয় লেনের রাস্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু এবং রেললাইন চালু হলে বন্দরের গতি আরও বেড়ে যাবে। রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বেড়ে যাবে। সে লক্ষ্যে আমাদের ভিশনারি লিডার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে পদক্ষেপ নেন। তার রাজনীতি ভবিষ্যতে মানুষ কোথায়, কীভাবে থাকবে তা নিয়ে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করতে অনেক ধরনের কটাক্ষ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে খাটো করতে পারলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা যাবে, এ জন্য অনেকেই কটাক্ষ করতেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার জন্য জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া যা যা করা দরকার তা করেছে। গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অন্ধকার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভিটিএমআইএসের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাহফুজুল হান্নান।

তিনি বলেন, ‘ভিটিএমআইএস প্রবর্তনের উদ্দেশ্য হলো, মোংলা বন্দরকে আধুনিকায়ন, বন্দর সীমানায় আগত সমুদ্রগামী জাহাজসমূহ মনিটরিং করাসহ দক্ষতার সঙ্গে হ্যান্ডলিং করার মাধ্যমে প্রদত্ত সেবার মান উন্নীত করা। বন্দর এলাকায় দুর্ঘটনা পরবর্তীতে তদন্তকরণ ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাহাজ সমূহের গতিবিধি মনিটরিং করার লক্ষ্যে আইএমও কনভেনশেনের আলোকে ইন্টারন্যাশনাল শিপ পোর্ট সিকিউরিটি কোড বাস্তবায়ন করা।’

মাহফুজুল হান্নান আরও বলেন, ‘বন্দর এলাকায় দুর্ঘটনা পরবর্তীতে তদন্ত ও তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণসহ জাহাজ সমূহের গতিবিধি মনিটরিংসহ উক্ত ঘটনাবলি সংরক্ষণ করা। মোংলা বন্দরে ইতিপূর্বে কোনো ভিটিএমআইএস ছিল না। ফলে বিদেশি জাহাজের সঙ্গে ভেরি হাই ফ্রিকোয়েন্সির (ভিএইচএফ) মাধ্যেমে যোগাযোগ করা হতো।

‘বর্তমানে ভিটিএমআইএসের মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। মোংলা বন্দর আর্ন্তজাতিক বন্দর হিসেবে ভিটিএমআইএসের মাধ্যমে বিদেশি জাহাজের আগমন ও নির্গমন নিরাপত্তার সঙ্গে নিশ্চিত করা হচ্ছে। বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কারণে জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’

ভিটিএমআইএস প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রধান কাজ ছিল হাইস্পিড বোট সংগ্রহ এবং ভিটিএমআইএস প্রবর্তন।

এ জন্য ব্যয় হয়েছে ৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। হাইস্পিড বোট সংগ্রহে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং ভিটিএমআইএস প্রবর্তনে ব্যয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

এ বিভাগের আরো খবর