চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই ও রাজাখালী খালের জায়গা দখল করে তৈরি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
উচ্ছেদের আগে নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিতেও বলেছে আদালত।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো.কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই খাল ও রাজাখালী খালের প্রকৃত সীমানা চিহ্নিত করে খালের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নির্মাণ কাজ বন্ধে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা হাইকোর্টে রিট করি।
‘২০১৬ সালের ৬ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসন প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, বাকলিয়া এবং পাঁচলাইশ মৌজায় ১২৬টি অবৈধ দখল রয়েছে। এর মধ্যে রাজাখালী এলাকায় ৬১ এবং চাক্তাই এলাকায় ৬৫টি। বুধবার এ রুলের ওপর রায় দেয় হাইকোর্ট।’
তিনি বলেন, ‘রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের দুটি খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়া হয়। উচ্ছেদের আগে নিজ খরচে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিতে বলেছেন আদালত।’
মামলাটি চলবে বলেও জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এ মামলায় বিবাদীরা হলেন পরিবেশ, অর্থ, এলজিআরডি ও পানিসম্পদ সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব, সিডিএ চেয়ারম্যান,পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, জেলা প্রশাসক, এডিসি, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, বাকলিয়ার এসি (ল্যান্ড) এবং ওসি।