যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ এপ্রিল ঠিক করেছে আদালত।
মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ছিল বুধবার, কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদনটি আদালতে জমার নতুন তারিখ ঠিক করেন।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবহা। এতে অভিযোগ করা হয়,
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইলিয়াসের সঙ্গে সুবহার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা অনুযায়ী ১২ লাখ টাকার রোলেক্স ব্র্যান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেয়া হয়, কিন্তু ইলিয়াস এতে সন্তুষ্ট হননি।
পরে সুবহা জানতে পারেন, ইলিয়াস আগে একাধিক বিয়ে করেছেন এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মধ্যে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার।
পরে ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেন ইলিয়াস। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে রাত ৮টার দিকে সুবহাকে শারীরিক নির্যাতন করেন ইলিয়াস।
পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চান ইলিয়াস। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সুবহাকে মারধর এবং মাথা দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে জখম করেন ইলিয়াস।
পরে ইলিয়াস সুবহাকে ব্যথার ওষুধের কথা বলে অন্য ওষুধ খাওয়ান; সুবহা অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান ইলিয়াস। সুবহার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।