পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর নবজাতক চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় সোমবার রাতে নবজাতকটি চুরির অভিযোগ উঠে।
ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রাতেই ওই নারী একসঙ্গে তিন শিশুর জন্ম দেন। এর মধ্যে দুই নবজাতককে দত্তক নিয়েছে বলে দাবি করেছেন দুই নিঃসন্তান দম্পতি।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে হাসপাতালের এখানে-সেখানে ঘুরতে দেখা যেত ওই নারীকে। অযত্ন আর অবহেলায় কখনও হাসপাতালের বারান্দায় কখনও আবার সিঁড়িতে মানবেতন জীবনযাপন করতেন পরিচয়হীন ওই নারী। হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন বা কর্মচারীরা খাবার দিলে তবেই তার খাওয়া হত, না হলে দিনের পর দিন পার করতেন অনাহারে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী সোমবার রাতে ফুটফুটে তিনটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সকাল হতে না হতেই তিন সন্তানের একজনকে হাসপাতালে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আফরোজা পারভিন বলেন, ‘অনেক দিন ধরে ওই নারী অজ্ঞাত পরিচয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তার চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছিল। গতরাতে তিনি তিন ছেলে জন্ম দেন।’
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. ওমর ফারুক মীর জানান, লোকবল সংকট থাকায় কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে ওই নারীর নবজাতক চুরির দায় নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।
তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক।
ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি জানার পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
‘তদন্তে প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া শিশুর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
এ দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে দালাল চক্রের উৎপাত ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছেন সেবা প্রত্যাশীরা। হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতি ও দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।