বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপে অংশ নিতে দুই দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সউদ।
সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান। এ সময় পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারকরণ সংলাপের মূল আলোচ্য বিষয়। এ ছাড়াও সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার, রোহিঙ্গা সংকট ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
বুধবার অনুষ্ঠিত এই সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
দুই দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এই সংলাপের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব থেকে একটি বড় বিনিয়োগ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তেল শোধনাগার, পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স, এলএনজি টার্মিনাল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, খাদ্য ও ওষুধশিল্প, সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, পোতাশ্রয় নির্মাণ, সামরিক-বেসামরিক এয়ারক্রাফট রক্ষণাবেক্ষণ, যন্ত্রাংশ নির্মাণ, সার ও সৌরবিদ্যুৎ খাতে ৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীরা।
পাশাপাশি, বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় সৌদি সরকার। এই রাজনৈতিক সংলাপে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ, জনশক্তি রপ্তানিসহ যৌথ সহযোগিতার বিষয়ে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ জানিয়েছিলেন, দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের কারণে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ও রাজনৈতিক সংলাপের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরেও অন্তত তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে।
দুই দিনের সফর শেষে বুধবার বিকেলে ঢাকা ছাড়বেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।