চলতি বছরে করোনার তৃতীয় ঢেউ এলেও প্রথমবারের মতো মৃত্যুশূন্য দিন দেখলো দেশ। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর শেষ মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কোনো মৃত্যু হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১১২ জনের।
অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২১৭ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪২ জন।
দেশে করোনা সক্রমণ শুরুর পর গত বছরের ২০ নভেম্বর প্রথমবারে মতো মৃত্যুশূন্য দিন দেখে বাংলাদেশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৮টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫৪ । করোনা ভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬০০ জন। এ নিয়ে দেশে সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪০৮ জন।
দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে।
করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে আবার নতুন ঢেউ আসে। মূলত ডেল্টা ধরনের কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এই ঢেউয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় জুলাইয়ে। শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
এরপর দেশে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর থেকে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা দেশে করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই কমতে থাকে শনাক্তের হার। গত ১১ মার্চ এই তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার পর পর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে ভাইরাসটির ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা যাবে। বিপরীত দিকে করোনার ঢেউয়ে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার কমে ৫ শতাংশের নিচে নেমে পরপর দুই সপ্তাহ এই পরিস্থিতি থাকলে ঢেউটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা যাবে।