বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সামাজিক সম্প্রীতি কমায় ধর্মান্ধরা সুযোগ নিচ্ছে

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ২১:৩৪

‘নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিরাজমান শান্তিময় পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারকারী ও হামলার চক্রান্তকারী কুচক্রী মহলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখী করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।’

গুজব প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি সুশিক্ষার প্রসার প্রয়োজন বলে মত এসেছে জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায়।

বক্তারা বলেছেন, মানুষের মধ্যে সুস্থ চিন্তাধারার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সামাজিক সম্প্রীতি কমে যাওয়ায় ধর্মান্ধরা সুযোগ নিচ্ছে। আর যাতে ধর্মব্যবসায়ীরা গুজব ছড়িয়ে মানুষকে প্রভাবিত করতে না পারে সে জন্য কাজ করতে হবে।

সোমবার ‘গুজব, হুজুগ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টিতে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন কথা বলেন।

‘গুজব হুজুগ সন্ত্রাস নয়, উন্নয়ন হোক দেশময়' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে হেযবুত তওহীদ নামে একটি সংগঠন।

হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীতে গুজব রটিয়ে, মসজিদকে গীর্জা নির্মাণ আখ্যা দিয়ে হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে হত্যার বিবরণ তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সেদিন নির্মাণাধীন মসজিদকে গির্জা বলে গুজব রটিয়ে দিয়ে, মিথ্যা হ্যান্ডবিল বিলি করে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল।’সেলিম বলেন, ‘আমি যখন সেখানে কার্য়ক্রম শুরু করি তখন ধর্মীয় কার্য়ক্রম করে যারা অর্থ রোজগার করে যেমন-ওয়াজ করে টাকা নয়, আর দ্বিতীয় যারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করছে এরা আমরা বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করল।

‘এই ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে এই মামলার চার্জশিট দেয়া হয়। বহু আসামি আইনের আওতায় আসেনি, যারা এসেছে তারা রাজনৈতিক হয়রানির ধুয়া তুলে সহজেই জামিনে বেরিয়ে এসে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না।’

হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যাচার চালাচ্ছে ও হামলার উসকানি দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিরাজমান শান্তিময় পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারকারী ও হামলার চক্রান্তকারী কুচক্রী মহলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখী করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।’

সংগঠনের নারী বিভাগে প্রধান এবং শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী বলেন, ‘আমরা যদি সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকতে পারি, সমাজের কল্যাণমুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাই, তাহলে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবেন। কাজেই দেশজুড়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের মালিকানাধীন ভূমি, পুঁজি ও মেধাকে একত্রিত করে আমরা বহু উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি।’

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা বলেন, ‘১৯৭১ সালে ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে আমাদের দেশের মা-বোনদের কাফের ফতোয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেই থেকে আজও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা বেড়ে গেছে।’

এ ছাড়া ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ইকবাল হাসান কাজল, যন্ত্রশিল্পী এনামুল কবিরও এতে বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর