দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। বাকি সাত বিভাগ মৃত্যুশূন্য।
এ সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২২৯ জনের শরীরে। গত এক সপ্তাহে ব্যবধানে নতুন রোগী কমেছে ৫২ শতাংশ।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫২ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৬২ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৮ টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৬৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭৫ ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে কোভিড শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২২০ জনের। এর আগে সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৫৮৬ জন। অর্থাৎ এক সপ্তাহে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ।
দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে।
করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে আবার নতুন ঢেউ আসে। মূলত ডেল্টা ধরনের কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এই ঢেউয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় জুলাইয়ে। শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
এরপর দেশে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর থেকে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা দেশে করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
রেকর্ড গড়ার পরদিন থেকেই কমতে থাকে শনাক্তের হার। গত ১১ মার্চ এই তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার পর পর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে ভাইরাসটির ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা যাবে। বিপরীত দিকে করোনার ঢেউয়ে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার কমে ৫ শতাংশের নিচে নেমে পরপর দুই সপ্তাহ এই পরিস্থিতি থাকলে ঢেউটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা যাবে।