বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহুয়ার মামলায় আসামির নাম নেই কেন: হাইকোর্ট

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ১৬:৪১

গত ২ ডিসেম্বর রাত ২টা ১৮ মিনিটে বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি ক্রসিংয়ে একটি দুর্ঘটনায় মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজং মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার হন। ওই ঘটনায় তাকে একটি পা হারাতে হয়েছে। একজন বিচারপতির ছেলে সেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে গণমাধ্যমে তথ্য এসেছে। পুলিশ তার গাড়িটি থানায় নেয়ার পরও ছেড়ে দিয়েছিল। এই ঘটনায় মহুয়ার করা মামলা নিতে চাইছিল না বনানী থানা। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যে শেষ পর্যন্ত মামলা নিলেও তাতে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় ইউলুপে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজংয়ের পা হারানোর ঘটনায় করা মামলায় আসামির নাম না থাকার কারণ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

মহুয়া হাজংয়ের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে। এতে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সঙ্গে ছিলেন মাক্কীয় ইসলাম।

গত ২ ডিসেম্বর রাত ২টা ১৮ মিনিটে বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি ক্রসিংয়ে একটি দুর্ঘটনায় মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজং মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনার শিকার হন। ওই ঘটনায় তাকে একটি পা হারাতে হয়েছে। তিনি এখন বিকলাঙ্গ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন।

একজন বিচারপতির ছেলে সেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে গণমাধ্যমে তথ্য এসেছে। পুলিশ তার গাড়িটিতে থানায় নেয়ার পরও ছেড়ে দিয়েছিল।

এই ঘটনায় মহুয়ার করা মামলা নিতে চাইছিল না বনানী থানা। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যে শেষ পর্যন্ত মামলা নিলেও তাতে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।

এই ঘটনায় সেই বিচারপতির ছেলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, মহুয়ার বাবা উল্টো দিক থেকে বাইকে করে এসে তার গাড়িতে আঘাত করেছেন। তিনি মানবিক কারণে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেননি।

জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ ছিল। আমরা যেটা জানি সেটা হলো দুর্ঘটনার পরে মোটরসাইকেল ও যে প্রাইভেট কারের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে, দুটোকেই কিন্তু থানায় নেয়ার কথা। কিন্তু তা করা হয়নি। এমনকি এ ঘটনায় পুলিশ কোনো জিডি গ্রহণ করেনি। পরে এ ঘটনা নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর আসামির নাম ছাড়া মামলা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা হলো, আসামির নাম ছাড়া মামলা করতে মহুয়া হাজংকে বাধ্য করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর