চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. এ বি এম নাজমুল ইসলাম খানকে বহাল রাখা কেন অবৈধ না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত।
একই সঙ্গে বিভাগের শিক্ষকদের করা সভাপতি পদ হস্তান্তরের আবেদন ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশও দিয়েছে আদালত।
গত ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
রোববার রাতে বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন রিট আবেদনকারী ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘গত বছরের ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালের রেজিস্ট্রারের কাছে আমরা আবেদন পাঠাই। সেখানে সভাপতির দায়িত্ব আমাদের বিভাগের কাউকে দিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি।
‘কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের আবেদনের কোনো উত্তর দেয়নি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে যাই।’
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট আমাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেছে। রুলে বর্তমান সভাপতি কেন অবৈধ হবে না এটি জানতে চেয়েছে। একই সঙ্গে আমাদের আবেদন ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে।’
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ সায়েন্স বিভাগে দুইজন সহকারী শিক্ষক থাকার পরও সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম নাজমুল ইসলাম খান।
২০২০ সালের ২ জুলাই থেকে তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য সভাপতি পদে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে সহকারী পদমর্যাদার শিক্ষক থাকায় ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষকদের দাবি তাদের মধ্যেই একজনকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হোক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় উচ্চ আদালতে যান বিভাগের তিন স্থায়ী শিক্ষক।
মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘২০২১ সালের ৩০মে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের তিন শিক্ষকের মধ্যে দুইজন পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হই। পরবর্তী সময়ে ২৪ নভেম্বর বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য থেকে সভাপতির পদের জন্য আবেদন করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক না থাকলে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদের কোনো শিক্ষককে সভাপতি হিসেবে নিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কিন্তু অন্য বিভাগে এ নিয়ম মানা হলেও ক্রিমিনোলজি বিভাগের ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
রিটের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল কপি পেলে আইনগতভাবে যা করণীয় আমরা তা করব।’