গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অন্যের স্ত্রীর ফেসবুক স্টোরিতে হা হা রিয়্যাক্ট করার জেরে ছুরিকাঘাতে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় নিহত ফারুকের বাবা আলম বাদী হয়ে ওই মামলাটি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াসমিন জানান, ১০ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও মামলাটিতে অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার জাহিদের স্ত্রী মারিয়া ওরফে রুবিনা ফেসবুক স্টোরিতে একটি ছবি পোস্ট করেন। ওই স্টোরিতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নিহত নাঈম হা হা রিয়্যাক্ট দেন। এ নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জাহিদ এবং মারিয়া প্রেম করে বিয়ে করেছেন। জাহিদ একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী। নিহত নাঈম একটি দর্জির দোকানের কর্মচারী। আর ফারুক রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। নাঈমের সঙ্গে ফেসবুকের সুত্রে পরিচয় হয় মারিয়ার।
মারিয়া ও তার স্বামী জাহিদকে খুঁজে পেলেই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা যাবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
মামলার আসামিরা হলেন, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চর আলীনগর এলাকার আবু তাহেরের ছেলে জাহিদ, কোচেরচর এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে ইয়াসিন, দৌলতপুর এলাকার আ. রশিদের ছেলে রোকন, একই এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে বাসেদ, নুরুল ইসলামের ছেলে জহুরুল, মোস্তফার ছেলে বেলায়েত, সিরাজুল ইসলামের ছেলে শেখ সাহেদ, কোচেরচর এলাকার রশিদের ছেলে সাইজুল, মনোহরদী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে ফয়সাল ও কাপাসিয়ার চরসনমানিয়া এলাকার রিপনের ছেলে মারুফ। তাদের সবার বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানান কাপাসিয়া থানার ওসি এ এফ এম নাছিম।
এদিকে শনিবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হলেন- ১৫ বছর বয়সী হৃদয়, ১৬ বছরের ফাহিম, ১৪ বছরের ইমরান। তাদেরকে ঘটনার রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।