বিশ্বের ‘সবচেয়ে কমবয়সী প্রফেসর’ সুবর্ণ আইজ্যাক বারী ঢাকায় আসছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আগামী ১৫ মার্চ তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে লেকচার দেবেন এমন খবরও প্রচারিত হচ্ছে।
এর মধ্যেই নয় বছরের সুবর্ণ আসলেই প্রফেসর কি না সেটি নিয়েও চলছে বিতর্ক।
তবে ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে সুবর্ণ আইজ্যাক বারীর অধ্যাপনার কোনো প্রমাণ মেলেনি। এমনকি তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী প্রফেসর এমন দাবিরও কোনো সত্যতা মেলেনি।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী প্রফেসরের নাম আলিয়া সবুর। ২০১৮ সালে তিনি প্রায় ১৮ বছর বয়সে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত হন।
সুবর্ণ আইজ্যাক বারীর শিক্ষাজীবন নিয়ে তেমন কিছুই জানা যায়নি। বর্তমানে উইকিপিডিয়াতে তার কোনো পেইজ নেই। ভুল তথ্য ও ভুয়া খবর প্রচারের কারণে সুবর্ণকে নিয়ে আগের পেইজটি মুছে ফেলেছে উইকিপিডিয়া।
২০২০ সালের ২৫শে অক্টোবর একটি ওয়েবসাইটে সাড়ে ৮ বছর বয়সে বাংলাদেশি বালক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হলেন শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
ওই খবরের প্রথম লাইনে বলা হয়, সুবর্ণ আইজ্যাক বারী, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিস্ময়কর এক বালক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
এরপরে হার্ভার্ডের স্বীকৃতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে সুবর্ণর জন্ম, বাল্যকাল ও নিউ ইয়র্কের মেয়রের স্বীকৃতির কথা বলা হয়েছে।
তবে সুবর্ণর আনভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে বা ওয়েবসাইটে বা ইউটিউব চ্যানেলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রফেসর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
২০১৭ সালে হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে তাকে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভাষণ দিতে দেখা যায়। তবে সুবর্ণকে হার্ভার্ডের ক্লাসরুমে বা অফিসে কখনও দেখা যায়নি।
ফ্যাক্ট ওয়াচ নামে একটি ওয়েবসাইটের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সুবর্ণ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেননি, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হননি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেননি।