বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই শিশুর মৃত্যু: অনুমোদন নেই মা ফার্মেসির

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২২ ২১:০০

ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মো. মাঈনুদ্দিন ঘটনার দিন থেকেই পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার তদন্ত দল তার ফার্মেসি পরিদর্শন করেছেন। ঔষধ প্রশাসনের রেকর্ড ‍তালিকায় তার নামে কোনো লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুর্গাপুরের যে ফার্মেসি থেকে সিরাপ কিনে খাওয়ার পর দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে, সেই ‘মা ফার্মেসির’ মালিক মো. মাঈনুদ্দিনের নামে কোনো ড্রাগ লাইসেন্স নেই। তার নাম নেই ফার্মাসিস্ট কোর্স সম্পন্নকারীদের তালিকাতেও।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক এবং জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক।

আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের দুই শিশু ইয়াসিন ও মুরসালিন সর্দি-জ্বরে ভুগছিল। বাড়ির পাশের মা ফার্মেসি থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ‘নাপা সিরাপ’ এনে তাদের সন্ধ্যার দিকে দুই চামচ করে খাওয়ানো হয়। রাতে অচেতন হয়ে পড়ে সুজন-লিমা দম্পতির দুই সন্তান।

প্রতিবেশীদের সহায়তায় দুই ছেলেকে ভর্তি করানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক ইয়াসিন ও মুরসালিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

মা ফার্মেসির মালিক মো. মাঈনুদ্দিন

ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মো. মাঈনুদ্দিন ঘটনার দিন থেকেই পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার তদন্ত দল তার ফার্মেসি পরিদর্শন করেছেন। ঔষধ প্রশাসনের রেকর্ড ‍তালিকায় তার নামে কোনো লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ ফার্মেসি পরিচালনার জন্য ফার্মাসিস্ট কোর্স করতে হয়। তবে মাঈনুদ্দিনের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে দেখে গেছে, ফার্মাসিস্ট কোর্স করার তালিকায় তার নাম নেই। অথচ ওই ফার্মেসিতে তিনি নিজেই ওষুধ বিক্রি করতেন।’

উপজেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আহসান উল্লাহ বলেন, ‘দুর্গাপুর গ্রামে ৩টি ফার্মেসির অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে মা ফার্মেসির নাম নেই।’

কে এই মাঈনুদ্দিন

দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে ফার্মেসি পরিচালনা করতেন মাঈনুদ্দিন।

তাজপুর গ্রামে মাঈনুদ্দিনদের বাড়ি

আওয়াল নিউজবাংলাকে জানান, মাঈনুদ্দিন গ্রামের সবার কাছে মাঈনু ডাক্তার নামে পরিচিত। তিনি ৪ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছেন। তবে থাকতেন পাশের তাজপুর গ্রামে।

তার তথ্য অনুযায়ী তাজপুর গ্রামে মাঈনুদ্দিনের পৈতৃক বাড়িতে যান নিউজবাংলার প্রতিবেদক। সেখানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুধু ছিলেন তার বড় ভাই সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী খালেদা বেগম।

মাঈনুদ্দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রথমে তিনিও কথা বলতে রাজি হননি। পরে জানান, সরাইল উপজেলার পানিশ্বর গ্রামে মাঈনুদ্দিনের শ্বশুরবাড়ি। তার দুই ছেলে রয়েছে। পরিবার নিয়ে থাকেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে। সেখান থেকেই দুর্গাপুর গ্রামে আসতেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর