বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুবেল-বরকতের জামিন আবেদনে ভুয়া তথ্য দিয়ে গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৯:৫৪

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ বলেন, ‘এ মামলায় আসামিকে ২০২০ সালের ২৫ জুন শ্যোন অরেস্ট করা হয়। পরে নিম্ন আদালতে জামিন খারিজের পর সাজ্জাদ হোসেন বরকত হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আবেদনে একটি ইনফরমেশন স্লিপ দাখিল করেন, যেটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকতের মামলায় জামিন আবেদনে ভুয়া তথ্য দেয়া সুরুজ্জামান নামের এক তদবিরকারককে পুলিশে দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আইনজীবীকে সতর্ক করেছে আদালত।

এ মামলায় বরকতের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

রোববার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে বরকতের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সফিউল্লাহ হায়দার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ।

চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০২০ সালের ১২ জুন মামলা করেন ফরিদপুরের ব্যবসায়ী ও কোতয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী।

অভিযোগে বলা হয়, ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে বরকত-রুবেলের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। তারা তাকে, তার ছেলে এবং গাড়িচালককে মারধর করে সোয়া পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

ফরিদপুর শহরের গোলচামত এলাকায় সুবল চন্দ্রের বাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০২০ সালের ৭ জুন সাজ্জাদ, রুবেলসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে তাদের বিরুদ্ধে সিআইডি পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ অর্থপাচারের অভিযোগে একই সালের ২৬ জুন রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেন। এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনুমান দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে গত ৭ মার্চ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ বলেন, ‘এ মামলায় আসামিকে ২০২০ সালের ২৫ জুন শ্যোন অরেস্ট করা হয়। পরে নিম্ন আদালতে জামিন খারিজের পর সাজ্জাদ হোসেন বরকত হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

‘আবেদনে একটি ইনফরমেশন স্লিপ দাখিল করেন, যেটি সম্পূর্ণ ভুয়া। কারণ সে তথ্যে বলা হয়, আসামি এ মামলায় ১৬৪ ধারায় কোনো বক্তব্য দেননি। কিন্তু আদালতের নির্দেশে আমরা নিম্ন আদালতে খবর নিয়ে দেখি এ আসামিসহ কয়েকজন আসামির এ মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি আছে।

‘পরে আদালত তদবিরকারকসহ আইনজীবীকে তলব করে। আজ আইনজীবী এ মামলার তদবিরকারক সুরুজ্জামানকে হাজির করান এবং সুরুজ্জামান স্বীকার করেছেন এটি ভুয়া। পরে আদালত সুরুজ্জামানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আর রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা করতে বলেন।’

তিনি আরও বলেন, বরকতের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এছাড়া অ্যাডভোকেট সফিউল্লাহ হায়দারকে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে বলেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর