২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের বাক্স ‘সেহরি খেয়েছে’ মন্তব্য করে আগামীতে ‘ব্রেকফাস্ট’ নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াহিয়া আখতার।
রোববার নির্বাচন ভবনে কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ ও পরদিন দায়িত্ব গ্রহণ করে। এখন পর্যন্ত তাদেরকে কোনো ভোট পরীক্ষা দিতে হয়নি।
আগামী নির্বাচনের কর্মকৌশল নির্ধারণে কমিশন প্রথমবারের মতো সংলাপে বসেছে। প্রথমেই ডাকা হয় শিক্ষাবিদদের। তবে এই উদ্যোগে খুব বেশি সাড়া আসেনি। কমিশন আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ৩০ জনকে। এর মধ্যে ১৩ জন সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আলোচনার জন্য গেছেন।
অধ্যাপক ইয়াহিয়া বলেন, ‘ভোটের বাক্সের ব্রেকফাস্ট বা নাস্তার টাইম হচ্ছে সকাল।…খাবার হচ্ছে ব্যালট। কিন্তু গত নির্বাচনে এই বাক্স ব্রেকফাস্ট না করে সেহরি খেয়েছে।'
বর্তমান সিস্টেমে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি। এ জন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করার তাগিদ দেন তিনি। বলেন, ‘না হয় আগের কমিশনের মতো দায় নিয়ে বিদায় নেন।
‘আরেকটা কাজ করতে পারেন, সেটা হচ্ছে পদত্যাগ করে সম্মান বাঁচানো। আমরা ১৭ বার সংবিধান সংশোধন করেছি, আরেকবার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে এমন কিছু ক্ষতি হতো না।'
আগামী নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার করা ঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘কারণ, আমাদের দেশের ভোটারটা প্রযুক্তি সচেতন নয়। আর ইভিএম দিতে হলে গণভোট করে যাচাই করতে হবে যে জনগণ ইভিএম চায় কি না।’
নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক রদবদল জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘আগের নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম নির্বাচনের আগে বললেন, প্রশাসনিক রদবদল করা হবে না। ওটা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম।’
পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপ হবে সবার পরে। এরপর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে নির্বাচন কমিশন।