চট্টগ্রামে আগুন লেগে হকার্স মার্কেটের দোকান পুড়ে যাওয়ার পর সেখানে কোনো পানির ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। এর আগে ২০১৯ সালে ঠিক পাশের মার্কেটে আগুন লেগে ক্ষয়ক্ষতির পর পানি না থাকা নিয়ে সমালোচনা হয়।
ওয়াসা লাইন না দেয়ায় চট্টগ্রামের জহুর হকার্স মার্কেটে পানির রিজার্ভার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর জওহরলাল হাজারী।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জহুর হকার্স মার্কেটের দুই প্রবেশ পথে দুইটা পানির রিজার্ভার তৈরি করার কথা ভেবেছিলাম। পরির পাহাড় ও হকার্স মার্কেটে দুটি পানির লাইন দেয়ার জন্য তিন বছর আগে ওয়াসার কাছে আবেদন করেছি।
‘তবে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি। তাই আগুন নেভানোর সময় লালদিঘি থেকে পানি আনতে হয়েছে। একটু সময় লেগেছে, নয়তো ক্ষয়ক্ষতি আরও কমানো যেত।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘কেউ যদি এরকম আবেদন করে থাকে, তাহলে আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। অনেকদিন আগের তো, যাচাই না করে বলতে পারছি না।’
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জহুর হকার্স মার্কেটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের নয় ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে অন্তত ৭০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে ১১টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, ‘মার্কেটে কোনো ওয়াটার সোর্স নাই এবং ফায়ার সার্ভিসকে ৬ থেকে ৭ শ মিটার দূরে লালদিঘি থেকে পানি আনতে হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ী সমিতিকে নিয়ে বসব যেন এখানে আন্ডার ওয়াটার রিজার্ভারসহ পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকে।’
সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরজুড়ে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসিয়েছে ওয়াসা। তবে হকার্স মার্কেট এলাকায় কোনো ফায়ার হাইড্রেন্ট দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘আসলে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানোর প্রক্রিয়া চলমান। এখনও এর কাজ শেষ হয়নি। ফায়ার সার্ভিস আমাদের যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকা দিয়েছে সেই অনুযায়ীই বসানো হচ্ছে।’