জামালপুরে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন উপলক্ষে পতাকা র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টার দিকে জামালপুর শহরের তমালতলা মোড় থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত এ র্যালি করা হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জামালপুরে পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু।
কবি ও সাহিত্যিক সাযযাদ আনসারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাংবাদিক সুশান্ত দেব কানু, বিশিষ্টজন আমির উদ্দিন, সমাজসেবক মোহাম্মদ আলী ফকির, অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিন সবুজ, আলী আল শাফি রীমু, আশেক মাহমুদ কলেজের সাবেক ভিপি মঞ্জুরুল ইসলাম লাঞ্জু, ব্যবসায়ী রকিবুল করীম, কবি আলী জহির ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ব ম জাফর ইকবাল জাফু।
এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৩ মার্চ বিকেলে জামালপুর শহরের গৌরীপুর কাচারী মাঠের একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন আশেক মাহমুদ কলেজের তৎকালীন ভিপি আব্দুল মতিন মিয়া হিরু। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ও দেশ স্বাধীনের পর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেন।’
প্রয়াত আব্দুল মতিন মিয়া হিরুর মেয়ে মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা বলেন, ‘আজকের দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তানি সেনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন বাবা। এরপর একটি গোপন বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করেন, পরে তা বাস্তবায়ন করেন।’
পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, ‘১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সার্থক করতে আব্দুল মতিন মিয়া হিরু সাহস করে মানচিত্রখচিত লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন। এমন সাহস আর কেউ দেখায়নি।
‘তার এই সাহস সেই সময়ের ছাত্রদের মধ্যে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, তাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন করেছে। তার এই ইতিহাস আমরা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেব যেন পরবর্তী প্রজন্ম এই গুণীকে চিরদিন স্মরণ রাখে।’
প্রায় তিন ঘণ্টা চলা আলোচনা সভায় জেলার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।