ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ‘সিরাপ খেয়ে’ দুই ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কমিটি।আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওই দুই শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আকিব হোসেন। তার সঙ্গে অধিদপ্তরের দুজন উপপরিচালক ও দুজন সহকারী পরিচালক এবং একজন পরিদর্শক আছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা দুই শিশুর মা লিমা বেগম, চাচা উজ্জল মিয়া ও দাদি লিলুফা বেগমের সাক্ষ্য নেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আকিব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে সিরাপটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। একই ওষুধের অন্যান্য ব্যাচের ওষুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বজনরা বলছে ওষুধ খাওয়ানোর পরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ওষুধটিতে কী এমন উপাদান ছিল- যেটি খাওয়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে রিঅ্যাকশন করল- এটি আসলে রহস্যজনক। এই রহস্য উদঘাটন করতে হয়তো সময় লাগবে।’আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের দুই শিশু ইয়াসিন ও মুরসালিন সর্দি-জ্বরে ভুগছিল। বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে নাপা সিরাপ এনে তাদের সন্ধ্যার দিকে দুই চামচ করে খাওয়ানো হয়। রাতে অচেতন হয়ে পড়ে সুজন-লিমা দম্পতির দুই সন্তান।
প্রতিবেশীদের সহায়তায় দুই ছেলেকে ভর্তি করানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক ইয়াসিন ও মুরসালিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে বিষয়টি পুলিশ জেলার সিভিল সার্জনকে জানালে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়কে সন্তানহারা বাবার অভিযোগের কথা জানান।