মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পাঁচ বছরের মেয়েকে নিজের জিম্মায় চেয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের ছেলের বিরুদ্ধে বউয়ের করা আবেদনের শুনানির জন্য ৩ এপ্রিল দিন ঠিক করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
বিষয়টি রোববার শুনানির জন্য তালিকায় এলে বাবার পক্ষে সময় আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে দেয়।
আদালতে বাবার পক্ষে সময় আবেদন করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী। অন্যদিকে মা তাসনোভা ইকবালের পক্ষে ছিলেন আহসানুল করিম, সঙ্গে ছিলেন আব্দুল কাইয়ুম ও সাবরিনা জেরিন।
পরে আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে বাবার পক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান চৌধুরী অসুস্থতাজনিত কারণে সময় আবেদন করেন। পরে আদালত অবকাশের পর ৩ এপ্রিল দিন ঠিক করে দেন।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে পাঁচ বছরের কন্যাসন্তানকে দেশের বাইরে না নিতে বাবা মুসফেক আলমের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং মায়ের জিম্মায় চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন মা তাসনোভা ইকবাল। আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরে রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন।
‘বাবার কাছে চার দিন এবং মায়ের কাছে তিন দিন থাকবে, এমন রায় দিয়েছিলেন আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করি। আমাদের দাবি হলো, আইন অনুযায়ী মা পুরোপুরি সন্তানকে কাছে পাবে। ওই আপিলের শুনানির জন্য আজকে আপিল বিভাগের তালিকায় আসে। পরে আপিল বিভাগ ৩ এপ্রিল দিন ঠিক করে দেয়।’
পাঁচ বছরের কন্যাসন্তানকে দেশের বাইরে না নিতে বাবা মুসফেক আলমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে গত বছরের ২৫ অক্টোবর আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ওই সন্তানকে মায়ের জিম্মায় দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
এ-সংক্রান্ত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মাহমুদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আইনজীবী জানান, ৫ বছরের কন্যাসন্তানকে নিজের জিম্মায় নিতে গত বছরের ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করেন শিশুটির মা তাসনোভা ইকবাল। আবেদনে শিশুকে দেড় বছর ধরে তার মাকে দেখতে না দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া শিশুকে বিদেশ না যেতে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
শিশুর বাবা মুসফেক আলম সৈকত, দাদা পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও দাদি মোমতাজ আলমকে বিবাদী করে এ আবেদন করা হয়।
রাজধানী গুলশানের বাসিন্দা তাসনোভা ইকবালের বাবা ইকবাল কামাল ও মা নাজমা সুলতানা।