টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। টাঙ্গাইল পৌরসভার আশেকপুরের বাসিন্দা মজিবর রহমানের ছেলে শাহানুর ইসলাম ঠাণ্ডু এ অভিযোগ করেছেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে তিনি এ অভিযোগ করেন। ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করার খবর পেয়ে আবারো হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহানুর ইসলাম ঠাণ্ডু জানান, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আশেকপুর মৌজায় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে তারা দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। এই মৌজায় নুর মোহাম্মদ মিয়ার কাছ থেকে ১৯৬৭ সালে সাব-কবলা দলিলে ১৭ শতাংশ ভূমির মালিক হন তার বাবা। পরে বায়নাপত্র মূলে আদালতের ডিক্রি পেয়ে ৪৮ শতাংশ ভূমির মালিক হন তিনি। এরপর ১৯৮০ সাল থেকে ওই জমিতে তারা ভোগ দখল করছেন।
তিনি আরও জানান, হাল জরিপে নালিশি সিএস দাগ নং ৯১/৯১, এর ১/১ খতিয়ানে রেকর্ড হয়। ঐ রেকর্ড সংশোধনের জন্য টাঙ্গাইলের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুন্যালে রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা আদালতে বিচারাধীন।
ঠাণ্ডু অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্তমানে এমপি ছোট মনিরের মদদপুষ্ট হয়ে সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িছাড়া করার পাঁয়তারা করছে। এর আগে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ছোট মনির সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওই জমি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেন। এই জমি নিয়ে বিরোধে আমার বাবাকে ১৯৮১ সালে হত্যা করা হয়। এই জমি ছেড়ে না দিলে আমার পরিণতি বাবার মতো হবে বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে।’
ঠাণ্ডু বলেন, ‘গত ৩ মার্চ সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে ঢুকে টিনের সীমানা বেড়া, লোহার গেট, ৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ট্রাকযোগে লুট করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমার স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
‘হামলার ঘটনায় ৮ মার্চ থানায় মামলা করলে সন্ত্রাসীরা আবারো হামলা চালায়। এমপি ছোট মনিরের মদদপুষ্ট টাঙ্গাইলের সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান হোসেন সাদাব অন্তুর (মনি) নেতৃত্বে এই হামলা হয়।
‘এই মামলার আসামিদের প্রথম ৫জন আমার বাবার হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে জেল খাটে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার না করায় পুনরায় হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অভিযোগ সম্পর্কে সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বক্তব্য জানতে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।