বাড়ির পাশেই নারকেলগাছের ডাল আনতে গিয়েছিলেন এক নারী। এ নিয়ে ঝগড়ার সূত্রপাত হলে প্রতিবেশীরা তার পেটে একের পর এক লাথি মারে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, লাথির আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই নারীর জরায়ু।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটে।
মিনারা ওই গ্রামের বাদল হাওলাদারের স্ত্রী। বর্তমানে তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ ঘটনায় মিনারার ছেলে মাসুম হাওলাদার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন সাধু ফরাজির ৪৫ বছরের ছেলে মোহাম্মদ মিলন, মিলনের ১৮ বছরের ছেলে মোহাম্মদ শান্ত এবং সোহরাব ব্যাপারীর ৩৫ বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ ফিরোজ।
আহত মিনারা বেগমের ছোট ছেলে সাগর হাওলাদার বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার মা বাড়ির পাশে একটি নারকেলগাছের শুকনো গ্যাঁড়া আনতে গিয়েছিলেন। এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিবেশী একই পরিবারের সোনিয়া, ফিরোজ, মিলন ফরাজী, রিয়াজ, শান্তসহ আরও কয়েকজন জিআই পাইপ নিয়ে হামলা করে।’
সাগর আরও বলেন, ‘হামলার একপর্যায়ে তারা আমার মাকে পা দিয়ে পদদলিত করে। এতে আমার মায়ের জরায়ু ফেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। বর্তমানে তিনি বরিশাল মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।’
সাগর জানান, ঝালকাঠি হাসপাতালে নেয়ার সময় মায়ের চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ তাদের কাছে ছিল না। পরে ছবির হোসেন নামে এক ব্যক্তি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াসহ নগদ অর্থ দিয়ে বরিশালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুনিয়া আক্তার বলেন, ‘হামলার শিকার ওই নারীর জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার এসআই জসিম বলেন, ‘হামলার ঘটনায় মিনারা বেগমের ছেলে মাসুম থানায় এসে অভিযোগ জানালে রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’