করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দুই দফায় পেছানোর পর অবশেষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের মিলনমেলা শুরু হয়েছে।
সকাল সোয়া ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠের পর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী মতিউল ইসলাম। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারসহ অন্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত তিনটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। একই সঙ্গে ‘শিল্পীর রং-তুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করা হয়েছে৷ এই পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম অর্থসচিব মো. মতিউল ইসলাম৷
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি কাজী রকীবউদ্দীন আহমেদ, শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ ও সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল।
উদ্বোধনী পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার৷ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অ্যালামনাইয়ের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী ও সহসভাপতি শাইখ সিরাজ৷
শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব আশরাফুল হকের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে উদ্বোধনী পর্ব শেষ হয়।
অ্যাসোসিয়েশন জানায়, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৯ হাজার ৩৩৭ জন সদস্য এই আয়োজনে অংশ নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এ ছাড়া বিশ্বের ২৫টি দেশের অ্যালামনাই অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অন্য কর্মসূচি
দুপুরে শুরু হবে ‘বাংলাদেশের পথযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, লেখক ও রাজনীতিক ইনাম আহমদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হামিদা আখতার বেগম, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির, বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহ৷
এ পর্ব শেষে থাকবে মধ্যাহ্নভোজ।
বেলা সাড়ে ৩টায় ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের শত গুণীজন সম্মাননা (মরণোত্তর)’ শীর্ষক অনুষ্ঠান হবে৷ এতে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ প্রাক্তন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা দেয়া হবে৷
বিকেল ৪টায় ‘অ্যালমা মেটারের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার’ শীর্ষক অনুষ্ঠান হবে৷ অনুষ্ঠান শেষে বৈকালিক আপ্যায়নের পর বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সাংস্কৃতিক পর্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও হারানো দিনের গান পরিবেশন করবেন শিল্পী অদিতি মহসীন, প্রিয়াংকা গোপ ও হৈমন্তী রক্ষিত৷
এরপর ১৯৬০ ও ৭০-এর দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের গান নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করবেন শিল্পী চাঁদনি, সিনথিয়া, মিম চৌধুরী ও তাদের দল৷
পরে শিল্পী সামিনা চৌধুরী ও সন্দীপন আধুনিক ও পুরোনো দিনের গান পরিবেশন করবেন, আর শিল্পী প্রেমা ও তার দল পরিবেশন করবেন রায়বেশী নৃত্য৷ রাত ৮টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত থাকবে কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের একক সংগীত পরিবেশনা৷ সব শেষে গাইবেন শিল্পী নিশীতা বড়ুয়া।