রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র সাফফাত নায়েম নাফিকে ছুরিকাঘাতের প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববারের মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত সাফফাত রাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আমজাদের মোড়ের এন আর ছাত্রাবাসে ঢুকে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরি মেরে গুরুতর জখম করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সকালে বিক্ষোভে নামলে এগিয়ে যান উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। তার আশ্বাসে বেলা সোয়া ১১টার দিকে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন।
রোববারের মধ্যে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার না হলে তারা আবার কর্মসূচি চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
উপাচার্যে বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে যান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক খলিলুর রহমান খান ও অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তোলা দাবিগুলো হলো, সাফফাতের চিকিৎসাব্যয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন, ছুরিকাঘাতকারীদের শিগগিরই গ্রেপ্তার এবং রাবি প্রশাসনকে মামলার তদারকি করতে হবে।
একপর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার সেখানে যান।। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।
উপাচার্য বলেন, ‘সব দাবি বাস্তবায়ন হবে। তবে সবার আগে আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে হবে। রাজশহী সিটি মেয়র, মেস মালিক সমিতি ও পুলিশ প্রশাসন নিয়ে আমরা শিগগিরই বসব। আমার ছাত্ররা যেন নিরাপদ থাকে।’
উপাচার্যের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করে রোববার পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়নের সময় দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ও অধ্যাপক আতাউর রহমান।
বুধবার রাতে ছুরিকাহত সাফফাতকে তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিক্যালে নেয়া হয়। রাতেই সেখান থেকে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।