বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২ ঘণ্টা পর কাজে ফিরলেন বরিশাল মেডিক্যালের নার্সরা

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২২ ১৩:১৬

হাসপাতালের স্বাধীনতা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তা‌ফিজুর রহমান বলেন, ‘আমা‌দের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা হয়েছে। তারা সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কাজে ফিরেছি।’

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণার দুই ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের নার্সরা।

ট্যুরিস্ট পুলিশ, মহানগর পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর তাদের আশ্বাসে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা আবার কাজে যোগ দেন।

হাসপাতালের স্বাধীনতা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তা‌ফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমা‌দের সঙ্গে প্রশাসনের আলোচনা হয়েছে। তারা সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কাজে ফিরেছি।’

জরুরি বিভাগের সি‌নিয়র স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলা‌মকে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতালের নার্সরা। তারা প‌রিচাল‌কের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।

সাইফুল নিউজবাংলাকে জানান, বুধবার গভীর রাতে ব‌রিশাল নগরীর রূপাতলী উকিল বাড়ি সড়কের সামনে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় ট্যুরিস্ট পুলিশের বরিশাল জো‌নের পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) সালাউদ্দিন মামুন আহত হন। তাকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে ভর্তির জন্য আনা হয়।

‘ভর্তি রেজিস্ট্রির ফি দেয়ার আগে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নেয়া যাবে না জানালে মামুনের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আমার তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে তারা জোর করে জরুরি বিভাগের কাউন্টারের ভেতরে ঢুকে আমাকে মারধর করে’, বলেন সাইফুল।

হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে মারধরের দৃশ্য। ছবি: ফুটেজ থেকে নেয়া

হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজে মারধরের এই দৃশ্য দেখা যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা মামুন বলেন, ‘আমাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। রাতে মারধরের বিষয়টি জানতে পারিনি। তবে আমাকে এখানে আনার সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের বরিশাল জোনের ইনচার্জ বুলবুল আহ‌ম্মেদসহ কয়েকজন ছিলেন।’

সিসিটিভি ফুটেজে মারধরের সময় বুলবুলকে দেখা গেলেও তিনি জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া তিনি এ বিষয়ে কিছু বলবেন না।

বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এনামুল হক জানান, তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছেন। যারা নার্সের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের শনাক্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের বরিশাল বিভাগের সুপার রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দোষী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে। তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে’, বলেন হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর