বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত চবি

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২২ ২০:৩১

বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে পরপর দুদিন সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের বিজয় ও সিএফসি গ্রুপ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিবদমান বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায় এই দুই গ্রুপ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম রাত সাড়ে ৮টার দিকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ সাতটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ সময় দুই গ্রুপের সদস্যরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়।

বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, ‘ছাত্রলীগ সভাপতি রুবেল আজকে তার গ্রুপের কর্মীদের নিয়ে একটা শোডাউন দেয়। এ সময় তিনি সোহরাওয়ার্দী, আলাওল, রব হলে উসকানি দেন। আমাদের একটা ছেলে রব হলের ঝুপড়িতে খেতে গেলে সিএফসি গ্রুপের কয়েকজন কর্মী তাকে কিল ঘুষি ও ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।

‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি দাবি করার পর কমিটি না দেয়ার জন্য রুবেল বিভিন্ন ভাবে উসকানি দিয়ে ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতির চেষ্টা করছে।’

সিফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘একটা ছেলে রব হলের দিকে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছিল। রব হলের ছেলেরা ও সাধারণ ছাত্ররা তাকে প্রতিহত করেছে। আমি কোনো উসকানি দেইনি.. ক্যাম্পাসে দিনের বেলা আমি আমার মতো করে ঘুরেছি।’

সহকারী প্রক্টর শহীদুল বলেন, ‘পরিস্থিতে এখন নিয়ন্ত্রণে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বার বার সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা প্রশাসন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় না। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে হবে। এখন পর্যন্ত কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি।’

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মহিউদ্দীন সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল বডির সমন্বয়ে তারা যেভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় আমরা কার্যকর করব।’

সোহরাওয়ার্দী হলের সামনেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে জড়ায় ওই দুই গ্রুপ।

সহকারী প্রক্টর মঙ্গলবার বলেন, ‘অর্থনীতি বিভাগের র‍্যাগ ডে অনুষ্ঠান থেকে ঘটনার সূত্রপাত। পরে বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হল, সিএফসি গ্রুপ শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।’

বিজয় ও সিএফসি গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিতি।

বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস মঙ্গলবার বলেন, ‘অর্থনীতি বিভাগের র‌্যাগ ডে অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল রুবেল যেতে চাইলে প্রোগ্রামের অর্গানাইজাররা বাধা দেন। এটা নিয়ে ঝামেলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। অর্গানাইজারদের মধ্যে আমার গ্রুপের ছেলেরাও ছিল।’

জবাবে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সুমন নাছির বলেন, ‘এটা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। আমার কর্মীরা গেলে তাদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। দুপুরের ঘটনাকে ঢাকা দেয়ার জন্য তারা এই সমস্যা তৈরি করে।’

এ বিভাগের আরো খবর