বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুডো খেলোয়াড়কে রক্তাক্ত করল ‘বাড়িওয়ালা’

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২২ ০৮:৩৯

আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক তানিম আহমেদ বলেন, ‘রাতে এক নারী রক্তাক্ত অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নারী দিবসে ঢাকার সাভারে বকেয়া বাড়ি ভাড়ার জন্য ন্যাশনাল জুডো দলের এক নারী খেলোয়াড়কে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে।

আশুলিয়ার জামগড়া মোল্লা বাড়ি এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে।

আহত সুমাইয়া আক্তার বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশনের ন্যাশনাল দলের খেলোয়াড়। ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে তিনি স্বর্ণ পদক জিতেছেন। এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার সমুরচুরা গ্রামের মোন্তাজ আলীর মেয়ে।

সুমাইয়া ওই এলাকায় স্থানীয় শফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।

সুমাইয়া আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশনের ন্যাশনাল দলের একজন খেলোয়াড়। সামনে আমার এসএসসি পরীক্ষা। আমার বাবা, মা ও ভাই জামগড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তবে আমি এখানে থাকি না, ন্যাশনাল ফেডারেশনেই থাকি। দুই-তিন দিন আগে এসেছি আম্মুর সঙ্গে থাকব বলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাতে বাসায় পড়ছিলাম। তখন বাড়িওয়ালার স্ত্রী বাসায় এসে বকেয়া বাড়ি ভাড়ার জন্য উচ্চবাচ্য করছিলেন। দুই-তিন মাসের বকেয়া ভাড়া পেতেন তারা। আমি বলেছি, যা পান দিয়ে দেব। এ নিয়ে আমার সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উনি (বাড়িওয়ালার স্ত্রী) আমাকে থাপ্পড় দেন।

আমিও তখন তাকে পাল্টা থাপ্পড় দেই। উনি তখন তার স্বামী শফিকুল ও ছেলে হৃদয়কে ডেকে নিয়ে এসে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। আমার মা বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে তারা। এ সময় লোহার পাইপ জাতীয় কিছু একটা দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে তারা।’

সুমাইয়া বলেন, ‘এ অবস্থায় থানায় গেলে পুলিশ আমাকে চিকিৎসা শেষে যাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।’

তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই রুমের ফ্ল্যাট নিয়া নিচতলায় থাকে হ্যারা। ৬ হাজার ট্যাকা ভাড়া। ৪০ হাজার ট্যাকা বাসা ভাড়া পাওনা। গত মাসে আমারে ৬ হাজার ট্যাকা দিছে। তিন মাস আগে হ্যারা বাসা ছাইড়া দিবো কইছে। কিন্তু এই মাস শেষ হইয়া গেলেও যায় নাই।

‘এখন আমরা তো আরেক ভাড়াটিয়ারে বাসা ভাড়া দিয়া দিছি। তারাও অন্যহানে বাসা ছাইড়া দিয়া এহন এই বাসায় উঠব। এই জন্য আমার স্ত্রী রাতে তাগো কাছে গেছিল। তখন কথা-কাটাকাটির সময় হ্যার মাইয়াডা আমার বউরে মারছে। মাইয়াডা ক্যারাতি জানত। আমার অসুস্থ স্ত্রীরে মাইরা কিছু থোয় নাই। আপনার বিশ্বাস না হলে বাসার ভাড়াটিয়ারা আছিল, আইসা তাগো জিগায় দেখেন, অনুরোধ।’

সুমাইয়াকে তার স্ত্রী আগে থাপ্পড় দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। তবে সুমাইয়া কিভাবে রক্তাক্ত হলো এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হয়তো ঘরের মইদ্দে খাট আছে, কতকিছু আছে। এখন কিয়ে লাগছে ক্যামনে কমু কন?’

আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) তানিম আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে এক নারী রক্তাক্ত অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

‘পরবর্তী সময়ে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন স্যারদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর