বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লা কারাগারে দুজনের ফাঁসি কার্যকর

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২২ ০১:৩৬

২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর উত্তর আমবাগান রেলওয়ে কোয়ার্টারের বাসায় ঢুকে রেলওয়ে কর্মচারী শফিউদ্দিনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

চট্টগ্রাম রেলওয়ের কর্মচারী শফিউদ্দিন হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফাঁসির বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিনিয়র জেল সুপার শাহ জাহান আহমেদ।

দণ্ডিত যে দুজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় তারা হলেন- শিপন হাওলাদার ও নাইমুল ইসলাম ইমন।

শিপন হাওলাদারের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায় হলেও থাকতেন চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর দক্ষিণ আমবাগানে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের নাইমুল ইসলাম ইমন থাকতেন চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার ডেবারপাড় এলাকায়।

ফাঁসি কার্যকরের সময় কারাগারে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী রহমান তিন্নী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) আফজল হোসেনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

ফাঁসি কার্যকরের পর রাতেই দুই জনের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে রাতেই ব্রিফিং করে কারা কর্তৃপক্ষ। ছবি: নিউজবাংলা

সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, ফাঁসির আগে তাদের শারীরিক অবস্থা চেক করা হয়েছে। দুজন সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৯ জন স্বজন তাদের সঙ্গে দেখা করেন। রাতে তওবা পড়ানোর পর দুই আসামিকে ফাঁসির মঞ্চে নেয়া হয়। কুমিল্লা কারাগারের জল্লাদ সিরাজ উদ্দীন নাসির এ ফাঁসি কার্যকর করেন।

২০০৩ সালের ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীর উত্তর আমবাগান রেলওয়ে কোয়ার্টারের বাসায় ঢুকে রেলওয়ে কর্মচারী শফিউদ্দিনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে আতঙ্ক ছড়াতে এলাকায় বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম খুলশী থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০০৪ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২৩ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আসামি শিপন ও ইমনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এ ছাড়া সাত আসামিকে যাবজ্জীবন এবং খালাস দেয়া হয় চারজনকে।

মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেয়। সবশেষ চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করা হলে তাও খারিজ হয়ে যায়।

কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আসাদুর রহমান বলেন, ‘দণ্ডিতদের মধ্যে একজনকে ২০২০ সালে, অন্যজনকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর