বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল আ. লীগ নেতার কাছে

  •    
  • ৮ মার্চ, ২০২২ ২১:৫০

গত বছরের ২২ অক্টোবর নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা টিভিএস কোম্পানির অ্যাপাচি মডেলের নীল রংয়ের মোটরসাইকেলটি ঘরের বারান্দায় রেখেছিলেন এনজিও কর্মকর্তা শাহিনুর।

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা থেকে হারানো একটি মোটরসাইকেল আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধারের আগে উপজেলার সমাসপাড়া মোড়ে এক মেকানিকের দোকানে মোটরসাইকেলটির খোঁজ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় সাইফুল ইসলামের ছেলে আশিকের নামে থানায় মামলা হয়েছে।

সাইফুল ইসলামের বাড়ি বিশা ইউনিয়নের ইসলামগাতি গ্রামে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সদস্য ও সাবেক সভাপতি। ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাশোপাড়া গ্রামের শাহিনুর রহমান ‘আশা’ এনজিওর আত্রাই সমাসপাড়া শাখায় লোন সেকশনে চাকরি করেন। ওই এলাকাতেই তিনি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন।

প্রতিদিনের মত গত বছরের ২২ অক্টোবর নিজের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা টিভিএস কোম্পানির অ্যাপাচি মডেলের নীল রংয়ের মোটরসাইকেলটি তিনি ঘরের বারান্দায় রেখেছিলেন। কিন্তু সেদিন রাতে গ্রিলের তালা ভেঙ্গে বারান্দা থেকে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। পরে এ বিষয়ে আত্রাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন শাহিনুর এবং ব্যাক্তিগতভাবেও খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সমাসপাড়া মোড়ের মোটরসাইকেল মেকানিকের দোকানে ভিন্ন রংয়ের একটি মোটরসাইকেল দেখে শাহিনুরের কাছে কৌতুহল জাগে। পরে ইঞ্জিন নম্বর যাচাই করে দেখেন এটিই তার চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল।

শাহিনুর বলেন, ‘মোটরসাইকেলটি হারিয়ে যাওয়ার পর থানায় ডায়েরি করার পাশাপাশি নিজেও খোঁজখুজি করতাম। হঠাৎ মেকানিকের দোকানে ছাই কালারের মোটরসাইকেল দেখে ইঞ্জিন নম্বর যাচাই করি। মেকানিকের দোকানে এটি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রেখে গিয়েছিলেন। মোটরসাইকেলের বিষয়ে জানতে চাইলে এটি তার ছেলের বলে জানান তিনি। পরে মোটরসাইকেলটি আমার দাবি করে বিষয়টি থানায় অবগত করি।’

এ বিষয়ে বিশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন খান (তোফা) বলেন, ‘ওই মোটরসাইকেলটি মেকানিকের দোকানে আছে জানিয়ে থানা থেকে আমাকে অবগত করা হয় এবং এটি জিম্মায় রাখতে বলা হয়। পরে গ্রাম পুলিশকে দিয়ে মোটরসাইকেলটি আমার কাছে নিয়ে আসি। সাইফুল ইসলাম দাবি করে, গাড়িটি তার ছেলে আশিক কিনেছে। পরে তাকে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়। কিন্তু তিনি প্রমাণ হিসেবে কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বিষয়টি থানাকে জানাই। পরে আত্রাই থানার এসআই চাঁদ আলী মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।’

আত্রাই থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আশিক নামে একজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন মোটারসাইকেলের মালিক শাহিনুর। অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর