তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রতি বছরই বিশেষভাবে আয়োজিত হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)’। এবার ৪৫তম ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা’ এর আয়োজক নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. বিল পাউচার এ ঘোষণা দেন।
এর ফলে ৪৫তম ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা ২০২২’ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হল আইসিপিসি।
প্রতি বছর আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশকে আয়োজক দেশ ঘোষণা অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. বিল পাউচার, ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান এবং আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ড. জেফ ডোনাহু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী মেধা দিয়ে বিশ্বকে জয় করতে হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘তরুণদের প্রোগামিংয়ে উৎসাহিত করতে পারলে সবকিছু ডিজিটাল করতে খুব একটা সময় লাগবে না। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় মেধার কোনো বিকল্প নেই। মেধাকে কাজে লাগিয়ে এ বিপ্লব জয় করতে হবে।’
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী না হয়ে সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব।’
প্রোগ্রামিং বিশ্ব পরিবর্তনের হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইংরেজি, গণিতসহ সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ডাক্তার, সাংবাদিকসহ যেকোনো পেশায় সাফল্য বয়ে আনতে গণিত ও বিজ্ঞানের পাশাপাশি কোডিং ও প্রোগ্রামিং শিক্ষার বিকল্প নেই।’
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের আগামীর লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলা। প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানসমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে দেশে ৩০০টি স্কুল অফ ফিউচার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠাসহ আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’